শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনা করছে: প্রধানমন্ত্রী

সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনা করছে: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে তাঁর সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জন্য সারাটি জীবন আত্মত্যাগ করেছেন এবং জনগণের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে গেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার রাজনীতিও সেই একই আদর্শে অনুপ্রাণিত। তিনি বলেন, দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, একটি উন্নত জাতি হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা এবং একটি গৌরবান্বিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে আমি রাজনীতি করছি। তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আওযমী লীগের এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে দলের নেওয়া মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন ছিলেন বলেই তাঁকে এভাবে জীবন দিতে হয়েছে। তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন এবং তাদের কল্যাণে কাজ করতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারলে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ এবং আমাদের সংগ্রাম সফল হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য যথাক্রমে তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পুনরুত্থানের সুযোগ আর কখনো দেবে না এবং দেশের মাটিতে খুনীদের কোনো ঠাঁই নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করেছি এবং রায় কার্যকর করেছি। তিনি বলেন, পলাতক খুনীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অথচ জিয়াউর রহমান দেশে তাদের পুনর্বাসন করেছে এবং স্বাধীনতার পর জাতীয়তা ত্যাগকারী বাঙালিদের অনেককে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তারা এখন যন্ত্রণায় আছে, তারা এখনো পাকিস্তানের দাসত্বকে মেনে নিয়ে আছে। তারা নিজেদের মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায় না। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া মীরজাফরদের সহযোগী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে বসবাস করে এবং বাংলাদেশ বিদেশ থেকে সম্মান বয়ে আনে, বেগম জিয়ার তখন ভালো লাগে না। তিনি কষ্ট পান। তবে বাঙালি জাতিকে আর পিছে ফিরিয়ে নিতে কেউ দেবে না।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক