স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাড়ীতে আগুন দেয়ার ঘটনা সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত নাশকতা। সরকার পেইড এজেন্ট দিয়ে এই নাশকতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিল ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ১৮ দলের পক্ষে শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
রিজভী বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দাবি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তার বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। ড. পিয়াস করিমের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরা করা তা আমরা জানি, এদের চিনে রাখছি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিলের প্রতিবাদে অবরোধের পর শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয়া এ নেতা বলেন, আমাদের উপর নির্যাতন চলছে। তা আমরা সহ্য করছি। প্রয়োজনে আমাদের উপর দিয়ে ট্রাক যাবে অথবা গুলি বৃষ্টি হবে তবু আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর নাছিরকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি রিজভী বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার চট্টগ্রামের বেগবান আন্দোলন বানচাল করতে এই গ্রেফতার করেছে এবং নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কক্সবাজারের চকোরিয়ায় যুবদলের নেতা আব্দুল হালিমকে গ্রেফতারের পর পুলিশি নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
মা-বোনদের অসম্মান করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতাকে বাড়ীতে না পেয়ে তার শ্বশুরবাড়ী গিয়ে নির্যাতন করলে তার শ্বাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে যায়। আমরা নিজেদের উপর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। মা বোনদের উপর নির্যাতন সহ্য করব না। ঢাকায় আমান উল্লাহ আমান, কুমিল্লা ও সিরাজগঞ্জে বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সরকার গণমাধ্যমের উপর অঘোষিত সেন্সরশীপ জারি করছে দাবি করে রিজভী বলেন, এখন সাংবাদিক নির্যাতন হলে সব গণমাধ্যমে তা আসে না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার জাফর সাদিক ও এক ক্যামরাম্যানের উপর যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে অথচ কিছু কিছু গণমাধ্যম তা এড়িয়ে গেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।