স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে টেলিভিশন মার্কার বিজয় ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছে। দলীয় লোকজন পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। তাছাড়া ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চলেছে। নির্বাচন কমিশন এগুলো আমলে নিচ্ছেন না। বরং আমাদের কর্মীদের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। আগামী ৬ জুলাই গাজীপুরের জনগণ এসব ষড়যন্ত্র কঠিন হস্তে মোকাবেলা করবে এবং ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এম. এ মান্নানকে জয় যুক্ত করবে ইনশাল্লাহ।
আজ সকাল ১১টায় গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক সংবাদ সংম্মেলনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেঃ জেনাঃ (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ এ কথাগুলো বলেন।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাও. শাহ আহমদ উল্লাহ আশরাফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুল ইসলাম।
তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র কাজী ছায়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ।
মাও. শাহ আহমদ উল্লাহ আশরাফ বলেন, হেফাজতের কোন কর্মী ১৪ দলের সাথে নেই। গাজীপুুরে হেফাজত ও তৌহিদী জনতা ৫৭টি ওয়ার্ডে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, ১৪ দল এখন এক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন একা হয়েগেছে। পাশাপাশি ১৮ দলের সাথে এখন হেফাজত ও জাতীয় পার্টি যোগ দিয়েছেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ স¤পাদক নূরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থীর উপর জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা ৫৭টি ওয়ার্ডে পৃথক কমিটি করে টেলিভিশন মার্কার কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোঃ এরশাদ অধ্যাপক এম. এ মান্নান সাহেবকে দোয়া ও সফলতা কামনা করে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।