শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবেদন জমা হলো না

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবেদন জমা হলো না

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি নির্ধারিত তিন মাস পার করেছে। তবে এ সময়সীমার মধ্যে সুপারিশমালা তৈরি করতে পারেনি কমিটি। বেতনবৃদ্ধির এই প্রতিবেদন তৈরিতে অনীহার অভিযোগ উঠেছে। কারণ, কমিটিকে দেওয়া নির্ধারিত সময় শেষ হলো ৯ আগস্ট।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের ‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করে গত ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কমিটিকে ৯০দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছিল।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবন-যাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে বলে কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি কমিটিতে রাখা হয়েছিল। এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে অর্থ বিভাগ।

কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের নাম পেতে সময় লেগেছে। কাজও দেরিতে শুরু করেছি। প্রতিবেদন তৈরি করতে আরও সময় লাগবে। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, সরকার যে সময় দিয়েছে সেই সময়ের মধ্যে পারবো না। আরও সময় চাইবো।’

এরআগে গত ১২ মার্চ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে সভাপতিত্বে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে এক বৈঠকে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ভবিষ্যতে আর বেতন কমিশন না করে ধাপে ধাপে বৃদ্ধির জন্য সর্বশেষ কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘গত বছরে আমরা একটি বেতন স্কেল দিয়েছি। যার ফলে ওই রকম কমিশন আর পাঁচ বছর পরপর হবে না। এখন নরমালি বৃদ্ধি পাবে।’

সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা মূল ধরে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা, যাতে বেতন বেড়েছে গ্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ।

২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে এই বেতন কাঠামো অনুযায়ী মূল বেতনের সঙ্গে সব ধরনের ভাতা কার্যকর হয়। এ বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনের সঙ্গে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হওয়ার কথা থাকলেও মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনা না হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের দিকে এগোয়নি সরকার।