বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠনের পর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে পারেনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এ পর্যন্ত ৮ বার পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দিয়েও অজানা কারণে তা পূর্ণতা পায়নি। অবশ্য এর জন্য দলীয় কোন্দলই দায়ী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যেই আগামীকাল শনিবার খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের হতাশা ও আক্ষেপ দূর হবে এমনটা আশা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি কাউন্সিল ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. আরাফাত হোসেন পল্টুকে সভাপতি ও মুশফিকুর রহমান সাগরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ অনুযায়ী গত বছরের ২০ জুন তারিখের ভিতর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দিলেও তা অনুমোদন হয়নি। গত ৩ জুন ২০১৭ তারিখে ছাত্রলীগ খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় জেলা ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের দাবির মুখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ও সাধারণ সম্পাদক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেবে বলে ওয়াদা করলেও অজানা কারণে তা প্রতিফলিত হয়নি।
গত ১১ ও ১২ জুন ঢাকায় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন ও উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের মৌখিক আশ্বাসের প্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। গত ১৯ জুলাই আবারও পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার জন্য বলা হয় সে অনুযায়ী নতুন ভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিয়েও অদৃশ্য কারণে তা প্রতিফলিত হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান পল্টু-সাগর কমিটি দলের সকল কর্মসূচি, জাতীয় এবং স্থানীয় কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠে সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেছে এই অপূর্ণাঙ্গ কমিটি।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন পল্টু জানান, শত শত পদহীন জেলা ছাত্রলীগের (নিয়মিত ছাত্র) কর্মীদের নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও সকল জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন না দেওয়ার কারণে তাদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন অর্থাৎ তাদের পরিচয় দেওয়ার মত কিছুই করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের কাছে ঋণী, তাদের সকল দায়ভার আমাদের কাঁধে।