বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : জাতীয় সম্প্রসার নীতিমালার আইন তৈরি জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক গোলাম রহমান। কমিটিতে সরকারের একজন উপ-সচিবসহ আর সবাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি আইন প্রণয়নের কাজ শেষে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে। পরে মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিপরিষদ সভায় উপস্থাপন করবে।
গত ৭ জানুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের সিদ্ধান্তে এই জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা আইন তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে সম্প্রচার নীতিমালা নীতিগতভাবে অনুমোদনের গত ৬ জানুয়ারি সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করেন এবং এই নীতিমালা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা এটিকে ‘কালো নীতি’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এক শ্রেণীর সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বা কে কী ভাবলো তাতে সরকারের কিছু আছে যায় না। সরকারের করা কমিটি আইন তৈরির প্রতিবেদন তৈরি করবেই এবং সে অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবেই।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘টেলিভিশন ও বেতারের কার্যক্রম তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার মন্ত্রিপরিষদ সভা নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। তার আলোকে আমরা আইন তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছি।’
পাশাপাশি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের (নিউজ পোর্টাল) জন্যও পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্টের ওপর আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি গণতান্ত্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারবো বলে আশা করি।’
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি টিভি দুটোর ক্ষেত্রেই ওই সম্প্রচার নীতিমালা কার্যকর করা হবে। কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তথ্য মন্ত্রণালয় পালন করবে।
নীতিমালায় বেতার বা টিভির লাইসেন্স কীভাবে দেয়া হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। মূল্যবোধ, ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, রাষ্ট্র প্রশাসনের মূলনীতি ও তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্যই নীতিমালা করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, সম্প্রতি প্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই নীতিমালা স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থি। এটি সম্পাদকদের নিরস্ত্র করার অভিনব প্রয়াস। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক