শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সব দলের ভোট পাব: আইভী

সব দলের ভোট পাব: আইভী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল গতকাল। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দুই প্রধান মেয়র পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি মনোনীত মো. সাখাওয়াত হোসেন খান গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। এরই ফাঁকে দুই মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে।
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আপনাকে সমর্থন করছেন না?
সেলিনা হায়াৎ আইভী: এ অভিযোগ ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী ডেকে নারায়ণগঞ্জের সব দলীয় নেতাকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষেই আছেন। যাঁরা এখনো নামেননি, তাঁরাও নামবেন আশা করি। এ সময় তিনি তাঁর পাশে বসা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিন মাস্টারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখিয়ে বলেন, এঁরা তো আওয়ামী লীগেরই।

প্রশ্ন : প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
সেলিনা হায়াৎ আইভী: একজন রাজনীতিক ও আইনজীবী হিসেবে তাঁর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। তিনি আমার অনেক কর্মীর মামলা পরিচালনায় সহায়তা করেছেন।

প্রশ্ন : সাংসদ ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম ওসমানের অভিযোগ, আপনি তাঁর বাবাকে নিয়ে অশোভন উক্তি করেছেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: অভিযোগটি সর্বৈব মিথ্যা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে এসে পরিষ্কার করেছেন যে, আমি কারও সম্পর্কেই অশোভন কোনো মন্তব্য করিনি। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের সব নেতা-কর্মীকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করতে চান, তাঁরাই এসব প্রচার করছেন। নির্বাচন সামনে রেখে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি মনে করি আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। তাঁরা আমার পক্ষেই কাজ করবেন।

প্রশ্ন : বিএনপিদলীয় প্রার্থী বলেছেন, জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির অধিকাংশ আপনি পূরণ করতে পারেননি?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: এ অভিযোগ যে ঠিক নয়, তা আপনি নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরের যেকোনো এলাকায় গেলে প্রমাণ পাবেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডেই রাস্তাঘাট বলতে কিছু ছিল না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন রাস্তাঘাট হয়েছে, ড্রেনেজ-ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, জলাবদ্ধতা কমেছে।

প্রশ্ন : বলা হয়, আপনি অনেক বেশি হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: অনেক বেশি হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াইনি। বিদ্যুৎ কর কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে আমি হোল্ডিং ট্যাক্স একটি নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করেছি। আগে অনেকেই ট্যাক্স দিতেন না। এখন সবাই ট্যাক্স দিচ্ছেন। মানুষ উপকার পেয়েছেন বলেই ট্যাক্স দিচ্ছেন।

প্রশ্ন : আগেরবার দলীয় প্রতীক ছিল না বলে দলের বাইরেও অনেকের সমর্থন পেয়েছেন। এবার তো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: গত নির্বাচনে আমি দল-মতনির্বিশেষে সবার সমর্থন পেয়েছি। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও তাদের সমর্থন পাব। আমি মনে করি, দলীয় প্রতীক সত্ত্বেও বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলের সমর্থকদের ভোট পাব। কেননা, এটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। আমি সব সময়ই মানুষের পাশে আছি। সে কারণে দল-মতনির্বিশেষে সবার ভোট আশা করি। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশনে আমি দলীয় রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিইনি। ভবিষ্যতেও দেব না।

প্রশ্ন : নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতিমধ্যে বিএনপিদলীয় প্রার্থী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: আমি অগের দুটি নির্বাচনই করেছি প্রতিকূল পরিবেশে। কিন্তু ২০০৩, ২০১১তে যেমন সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, এবারও তার ব্যত্যয় হবে না আশা করি।

প্রশ্ন : নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা সমর্থন করেন কি না?
সেলিনা হায়াৎ আইভী: সেনা মোতায়েনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা যদি মনে করে, সেনা মোতায়েন করবে।

প্রশ্ন : আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: কেউ বলতে পারবেন না আমি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি। আমি কোনো সভা-সমাবেশ করিনি। কিন্তু আমি যদি কোনো এলাকায় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাই, আর সেখানকার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে, সেই দায় তো আমার ওপর চাপানো ঠিক হবে না।

প্রশ্ন : এবার আপনার অঙ্গীকার কী?
সেলিনা হায়াৎ আইভী: গত পাঁচ বছর আমি রাস্তাঘাট করেছি। জলাবদ্ধতা কমিয়েছি। এবার অমি গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি গড়ার ওপর মনোযোগ দেব। একই সঙ্গে নগরে যে দরিদ্র মানুষ আছে, তাদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করব। নারায়ণগঞ্জকে শান্তি ও সমৃদ্ধির শহর করব। প্রথম আলো