শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সন্ত্রাসী-অপরাধী ছাড়া সিম নিবন্ধনে ভয় কীসের

সন্ত্রাসী-অপরাধী ছাড়া সিম নিবন্ধনে ভয় কীসের

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের নানা প্রশ্ন ও আশঙ্কা নিয়ে লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রোববার তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলেছেন ভয়ের কিছু নেই।

আঙুলের ছাপ দেশের বাইরে চলে যাবে, ঘটবে বিপজ্জনক ঘটনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আশঙ্কার পর তারানা হালিম এ কথা জানালেন। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়।

তারানা হালিম লিখেছেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ও কিছু কথা :

১। আঙুলের ছাপ ঘওউ তেও আছে, ছিল আগের সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফর্মেও এবং এইগুলো সকল অপারেটরদের কাছেও ছিল। এখন কোন সিম কার সেই নিয়ম মেনে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ ভেরিফিকেশন করতে আপনাদের ভয় কিসের? সন্ত্রাসী এবং অপরাধী ছাড়া এই পদ্ধতিতে ভয় পাবার কথা না।

২। আপনার সিমের মালিক যে আপনি সেই জন্যই ঘওউ এর ডাটাবেইসের সাথে এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার আঙুলের ছাপটি মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিম কিনলে আপনি সিমের মালিকানা কেন স্বীকার করবেন না?

৩। এই পদ্ধতি বাংলাদশের সকল নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সকল নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য হতো না।

৪। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই ডাটাবেইসে প্রবেশ করতে পারবে। যা ইতোমধ্যে আপনার ঘওউ তেও আছে। এখন শুধু এই আঙুলের ছাপের সাথে আপনারটা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ১টি ঘওউ এর বিপরীতে পূর্বে যেমন ৬০ হাজার বা এর অধিক সিম পাওয়া গেছে সেটা এড়াতেই এখনকার এই বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।

তারানা বলেন, ‘কোনো মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনারা আমাদের জনগণ, আমরা আপনাদের জনপ্রতিনিধি, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’

দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে ওই পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানান তিনি।