স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাজোট সরকারের শেষ সমযে সময়ে এসে বিরোধী দলীয় নেতাসহ নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে কথায় কথায় মামলা করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ েেত্র সম্প্রতি সংশোধন করা সন্ত্রাসবিরোধী আাইনে মামলার েেত্র ডিসির কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার বিষয়টি উঠিয়ে দেয়ায় পুলিশ ইচ্ছেমত যার তার বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ পাচ্ছে । এ অবস্থা দূর করতে কোনো মামলার অভিযোগপত্র আদালতে উত্থাপনের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার নিয়ম করা হয়েছে।
পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করার আগেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হলে ওই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের বিচার আদালত আমলে নেয়ার আগে সরকারের মঞ্জুরি গ্রহণের বাধ্যবাদকতা রয়েছে।’
এ অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের আগে তদন্তকারী কর্মকর্তার সরকারের অনুমোদন নেয়া যৌক্তিক ও সমীচীন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা সরকারের কাছ থেকে মঞ্জুরি গ্রহণ ছাড়াই আদালতে মামলার আভিযোগপত্র দাখিল করছেন। এর ফলে যেকোনো অপরাধ বিচারের জন্য আমলে আনতে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি, এভাবে জটিলতা সৃষ্টি করার কারণে অপরাধীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন, আবার সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে এ অভিযোপত্র দাখিল করার ফলে আদালতকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চাইতে হচ্ছে। ফলে আদালতকে ব্রিবত অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস বিরোধী আইন (সংশোধনী) ২০১৩ এর আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ কর্মকর্তা তাৎণিকভাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে তদন্ত শুরু করতে পারবেন।
কিন্তু ওই তদন্ত সমাপ্ত হলে অবশ্যই সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।