স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: দেশব্যাপী বিভিন্ন মহল থেকে নানা সমালোচনার পর এবার সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অবমাননাকর প্রতীক বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেই তার প্রতিফলন হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের জন্য ৩৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। এক্ষেত্রে নারীদের জন্য যে প্রতীকগুলো রাখা হয় সেগুলো হলো- কড়াই, গলার হার, চিরুনি, জবা ফুল, নূপুর, পাউরুটি, পেন্সিল, বিড়াল, বেগুন ও স্কুল ব্যাগ।
এরপর গত ৩০ ডিসেম্বরের পৌরসভা নির্বাচনের সময় নারী আসনের প্রতীকের হিসেবে ফ্রক, চুড়ি, পুতুলের মতো অবমাননাকর প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক বির্তক ও সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। এ নিয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দেশের নারী নেত্রীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া অন্যতম দল বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে প্রতিক্রিয়া জানায়।
সে সময়ই আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে অবমাননাকর প্রতীক রাখা হবে না বলে ঘোষণা দেয় ইসি। বর্তমান সময়ে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য বিধিমালা সংশোধন করছে কমিশন। আগামী মার্চেই সে নির্বাচন শুরু হবে। বিধিমালায় অবমাননাকর প্রতীক রাখা হচ্ছে না বলে ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া চূড়ান্ত করেছে কমিশন। যা দ্রুতই আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। খসড়া বিধিমালায় নারী আসনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারির সেই অবমাননাকর প্রতীকগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে তা হলো- কলম, ক্যামেরা, তালগাছ, জিরাফ, বই, বক, কলস, মাইক, হেলিকপ্টার ও সূর্যমুখী ফুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, কলস প্রতীক শেষ পর্যন্ত নাও রাখা হতে পারে।
এদিকে, চেয়ারম্যান পদের দলীয় প্রার্থীদের জন্য ৪০টি নিবন্ধিত দলের ৪০টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য অটোরিকশা, আনারস, ঘোড়া, টেবিল ফ্যান, ঢোল, টেলিফোন, ক্যালকুলেটর, দু’টি পাতা, মোটরসাইকেল ও রজনীগন্ধা প্রতীক হিসেবে থাকছে।
সাধারণ পদের জন্য প্রতীক হিসেবে রাখা হচ্ছে- আপেল, ক্রিকেট ব্যাট, ঘুড়ি, টিউবওয়েল, পানির পাম্প, ফুটবল, ফুলের টব, ভ্যান গাড়ি, বৈদ্যুতিক পাখা, মোরগ, লাটিম ও তালা।