শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সংবিধান পরিপন্থী জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করুন: বিএনজিপি

সংবিধান পরিপন্থী জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করুন: বিএনজিপি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ নিউ জেনারেশন পার্টির(বিএনজিপি)কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত ওয়াসীফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি সরকার ঘোষিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে মিডিয়ার কন্ঠরোধ হবে এবং আওয়ামী লীগকে চরম স্বৈরাচারের অপবাদ নিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীন কমিশন কবে হবে ঠিক নেই। এর আগ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রনালয় এর দায়িত্ব পালন করবে। এর অর্থ দাঁড়ায় পত্র পত্রিকায় সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু লেখা হলে, টকশোতে সরকারের বা কোন কর্তা ব্যাক্তির অপকর্মের বয়ান তুলে ধরা হলে, থানায় পুলিশ পিটিয়ে আসামী হত্যার চিত্র ও সংবাদ প্রকাশ করা হলে সরকারই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। এক কথায় এ নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে বাদী ও বিচারক-এ দুটি আসনেই সরকার অধিষ্ঠিত হবেন, যাকে স্বৈরাচার ছাড়া কিছুই বলা যায় না। আর কমিশন গঠিত হলেও তা হবে সরকারের ধ্বজাধারী কিছু ব্যাক্তিকে নিয়ে। ব্যাক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সরকারের দালালী করেন এমন দু’একজন সাংবাদিকও সেখানে ঠাই পেতে পারেন। এর দ্বারা এ নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন হেরফের হবে না।

সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ গৃহীত ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা’ কে সংবিধান পরিপন্থী হিসাবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে সংবিধান পরিপন্থি সম্প্রচার নীতিমালা বাতিলের দাবী জানিয়ে বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনজিপি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা হরণ ও গণমাধ্যমের ওপর বেআইনি নিয়ন্ত্রন আরোপের অপচেষ্টার অংশ হিসাবে এই নীতিমালা প্রনয়ন করেছে সরকার।

নেতৃদ্বয় বলেন, সংবিধান পরিপন্থি এই সম্প্রচার নীতিমালার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে শেকল দিয়ে নানাভাবে বেধে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এই সম্প্রচার নীতিমালা কার্যকর হলে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের স্বাধীনতা তথা মত প্রকাশের তথ্য ও যুক্তিযুক্ত যে কোন সংবাদ, মতামত ও আলোচনাকেও রাষ্ট্রবিরোধী ও নীতিমালা পরিপন্থী হিসাবে আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করা যাবে। আর সরকার বিরোধী বা সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন সমস্ত সম্প্রচারকে যখন-তখন কন্ঠরোধ করা যাবে। এর ফলে গণমাধ্যমে বিদ্যমান ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ আর থাকবে না। সরকারের এই তৎপরতা নাগরিক ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধকারী জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করার জোর দাবী জানান।