শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সংবাদপত্রের শুল্কমুক্ত কাগজ নয়াবাজারে

সংবাদপত্রের শুল্কমুক্ত কাগজ নয়াবাজারে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: নয়াবাজারের পাইকারি কাগজের দোকানে মিলছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশের সংবাদপত্রগুলোর আমদানি করা নিউজপ্রিন্ট। কিছু সংবাদপত্রের মালিক তথ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাগজ আমদানি করছেন। তারপর কিছুটা খবরের কাগজের জন্য কাজে লাগিয়ে অধিকাংশই বেচে দিচ্ছেন।

আর তুলনামূলক কম দামে পাওয়ায় তা লুফে নিচ্ছেন নয়াবাজারের ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে এসব কাগজ চলে যাচ্ছে সারাদেশের খুচরা কাগজের বাজারে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও।

তার অভিযোগ, এসব পত্রিকার প্রচার সংখ্যা যদি ১০০ হয়, তাহলে দেখানো হয় ৫০ হাজার। আর যদি ৫০ কপি চলে, দেখানো হয় ২৫ হাজার।

এমনকি সংবাদপত্রের নাম করে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাগজ আমদানির পর খোলাবাজারে বিক্রি করা প্রসঙ্গে অতীতে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তোফায়েল।

তিনি বলেন, আমি যখন এই দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, তখন একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সংবাদপত্রের মালিকরা যেহেতু শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানির সুবিধা পায়, সেহেতু নিয়ম করা হয়েছিল, কেউ যদি অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এক টন কাগজ কেনে, তাহলে বাইরে থেকে সমপরিমাণ কাগজ আমদানি করতে পারবে। এর ফলে যারা পত্রিকার মিথ্যা প্রচার সংখ্যা দিয়ে নিউজপ্রিন্ট আমদানি করত তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছিলো।

মন্ত্রী বলেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মইন উ আহমেদকে সংবাদপত্রের মালিক-সম্পাদকরা বোঝালেন, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আমি এটা করেছি। তখন আবার ওই নিয়ম প্রত্যাহার করা হলো।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগের নিয়ম বাতিল করার ফলে দেশীয় নিউজপ্রিন্ট মিলগুলো মার খাচ্ছে। এখন এটা কিভাবে বন্ধ করা যায় এজন্য আমার কাছে তদবির করছেন কেউ কেউ।

প্রসঙ্গত, ক্যাটগরি অনুযায়ী শুল্কমুক্ত সুবিধায় নিউজপ্রিন্ট আমদানির সুযোগ পায় সংবাদপত্রগুলো। কিন্তু সি বা বি ক্যটাগরির খবরের কাগজগুলো অনেক সময়ই এ ক্যাটাগরির প্রচার সংখ্যা দেখিয়ে বেশি পরিমাণে নিউজপ্রিন্ট আমদানি করে। পরে খবরের কাগজ ছাপানোর চেয়ে লাভজনক হওয়ায় সেগুলো নয়াবাজারের মতো পাবলিক কাগজের বাজারে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সব পদক্ষেপই মুখ থুবড়ে পড়ে। খবরের কাগজের নিউজপ্রিন্ট তাই দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নয়াবাজারে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম