শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন? সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ রাখুন

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন? সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ রাখুন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বড় বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে বহু পরামর্শ পাওয়া যায়। কিন্তু ছোট বক্তব্যের বিষয়টি তেমন নয়। এসব বক্তব্য দেওয়া সহজ বিষয় নয়। অনেক ক্ষেত্রে বড় বক্তব্যের চেয়েও এতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। আর বক্তব্য ছোট হলে তার প্রতিটি শব্দের ওপর দিতে হয় বিশেষ নজর। আবার এসব বক্তব্য ভালোভাবে দিতে পারলে বক্তা হিসেবে আপনার সুনামও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. কাঁটছাট করুন
ছোট বক্তব্যের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়কে রসিয়ে বর্ণনা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। এ কারণে আপনার বক্তব্যের বাড়তি অংশগুলোকে কাটছাট করতে হবে। আপনার বক্তব্য যদি হয় পাঁচ মিনিটের, তাহলে বক্তব্যের সময় বাড়ানোর চেষ্টা না করে তার বদলে বাড়তি অংশগুলো কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করাই যুক্তিসঙ্গত। এর মাধ্যমে আপনার বক্তা হিসেবে দক্ষতার পরিচয় নিশ্চিত হবে। আর পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে সাধারণত তিনটির অধিক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা যায় না।
২. পরিকল্পনা ও অনুশীলন
আপনার যদি ৩০ সেকেন্ডের বক্তব্যের জন্য পাঁচ দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয় তাহলে সে সময়টি যথাযথভাবে ব্যয় করুন। এ জন্য আপনি যদি সব বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে বোকামি করবেন। আপনার খেয়াল রাখতে হবে বক্তব্যের বিষয়বস্তু কী হবে। আর সে অনুযায়ী পড়াশোনা করে যথাযথভাবে বক্তব্য তৈরি করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর এ বক্তব্যের বারবার অনুশীলন করতেও ভুলবেন না।
৩. নিজেকে বাদ দিন
যেকোনো বক্তব্য দিতে গেলেই অনেকেই নিজের কিছু কথা বলার জন্য উতলা হয়ে ওঠেন। কিন্তু এ অভ্যাস ত্যাগ করে নিজের বিষয়বস্তু অনুযায়ী সঠিক লাইনে নিজের বক্তব্য দেওয়া উচিত। এতে আপনি যেমন সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন, তেমন বক্তা হিসেবেও আপনি সফল হবেন।
৪. মাইলস্টোন ঠিক করুন
পাঁচ মিনিটের একটি বক্তব্যে আপনার প্রতি এক মিনিটকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এতে দেখা যাবে প্রথম মিনিট আপনি ভূমিকা দিলেন। এরপর প্রতি মিনিটে একটি করে বিষয় উপস্থাপন করার জন্য রাখলেন। আর শেষ মিনিটটি রাখলেন উপসংহার কিংবা অবস্থা বুঝে কোনো পয়েন্টের বাড়তি বর্ণনার জন্য। তবে বক্তব্যের ধরন বুঝে বিষয়টি পরিবর্তিত হতে পারে।
৫. বক্তব্য নয়, দেখিয়ে দিন
ছোট কোনো বক্তব্যের ক্ষেত্রে কথা বলার পাশাপাশি বর্ণনাও ভালো কাজে আসে। বক্তব্যের সময় একজোড়া ছবি, একটা নিদর্শন কিংবা এমন কোনো বস্তু, যা শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঘোষণার চেয়ে এসব বিষয় গুরুত্ব বহন করে।
উদাহরণস্বরূপ আপনি ঘোষণা করলেন, ‘গতকাল আমরা এ অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি।’
তার বদলে যদি আপনি একটি কলম উঁচু করে ধরে বলতে পারেন, ‘এ কলমটি দিয়ে আমরা একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। আর তা হচ্ছে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর।’
৬. হৃদয় দিয়ে বলুন
আপনার আত্মাকে উন্মোচিত করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বক্তার সঙ্গে সংযোগের জন্য আপনাকে হৃদয় দিয়ে বলতে হবে। আন্তরিকতা ছাড়া বক্তব্য যান্ত্রিক হয়ে যেতে পারে। আপনার গলার স্মরের আবেগ লুকানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কোনো দুঃখজনক বিষয় হলে যেমন তা প্রকাশ করতে হবে, তেমন আনন্দের বিষয় হলেও প্রকাশ করতে হবে।
৭. উচ্চকণ্ঠে বলে ফেলুন
আপনার সব প্রস্তুতি, পড়াশোনা, অনুশীলন ও আবেগ বরবাদ হয়ে যাবে, যদি শ্রোতারা বক্তব্যটি শুনতেই না পায়। এ কারণে যে কোনো বক্তব্য যেন প্রত্যেক শ্রোতার কাছে পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ হলে শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা করে নিন এবং আপনার বক্তব্য শুনতে অসুবিধা হলে হাত তুলতে বলুন। সাউন্ড সিস্টেম থাকলে বক্তব্যের শুরুতেই তা পরীক্ষা করে নিন। মাইকের অবস্থান মুখ থেকে কত দূরে রাখতে হবে সে বিষয়টি অনুশীলন করে নিন।