স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কাশিপুর-৪ হাই সিকিউরিটি জেলের একটি সংকীর্ণ নির্জন কক্ষে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার বেলা সোয়া ১১টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী বলেন, আলালকে যেখানে রাখা হয়েছে সেই কক্ষের মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা মাত্র তিন ফিট। এরই ভেতরে একটি ছোট্ট অংশ টয়লেট ও গোসলের জন্য ব্যবহার করতে হয়। ওই কক্ষের নীচ তলায় ফাঁসির আসামিরা থাকে। মূলত হাই সিকিউরিটি কারাগারটি তৈরি করা হয়েছে বিপজ্জনক জঙ্গী বা সন্ত্রাসীদের জন্য। অথচ সেখানেই বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের রাখা হচ্ছে।
এক ভয়ঙ্কর অহসনীয় পরিবেশের মধ্যে আলালকে থাকতে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সেলে কোনো আলো বাতাস ঢুকতে পারে না। যে দ্বিতীয় তলায় আলাল সাহেবকে রাখা হয়েছে সেই তলায় আর কেউ থাকে না। এক হাড়হিম করা ভুতুড়ে পরিবেশ যেখানে না আছে পানি, না আছে বিদ্যুৎ।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী নেতারা নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল নিয়ম-নীতি, নির্বাচনী বিধি-বিধান উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় খরচে ইতোমধ্যে কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেমে পড়েছেন। গতকালও প্রধানমন্ত্রী খুলনায় এক সভায় বক্তৃতাকালে জনগণের নিকট নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। নির্বাচনী আইন ভঙ করে প্রধানমন্ত্রীর এই একতরফা নির্বাচনী প্রচারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলেও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, তফসীল ঘোষণার আগে এ নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা ডাহা মিথ্যা কথায় পারদর্শী আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের শত্রু। গণতন্ত্র হত্যাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্মদাগ। একতরফা একচেটিয়া নির্বাচনের চক্রান্তের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জাল জালিয়াতির নথিতে সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে নির্বাচনী ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, আমীরুল ইসলাম আলিম, এম এ মালেক, আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।