স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: বিপুল ব্যবধানে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও অধ্যাপক এমএ মান্নান অভিযোগ করলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আড়াই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিততেন বলে দাবি করছেন এমএ মান্নান।
রোববার সকালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাকে হারানোর জন্য সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্র ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জনগণ সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।’
সরকারের দুর্নীতি, হত্যা-গুম, খুন ও বিশেষ করে হেফাজত ইস্যু তাকে নগরপিতা হিসেবে বেছে নিতে প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন গাজীপুরের প্রথম নগরপিতা।
গাজীপুরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে অধ্যাপক মান্নান বলেন, ‘জিতে গেলাম বলে অনিয়ম দূর হয়ে যায়নি। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের শুরুতেই গাজীপুরবাসীকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করতে কাজ শুরু করবো।’
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪শ’ ৪৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮শ’ ৬৭ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭টি।
এর আগে বেলা ১১টায় বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে সিটির ৫৭ ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মো. মতিয়ার রহমান।
সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচিতরা হলেন- আব্বাস উদ্দিন, শেখ সোলেমান, সাইজ উদ্দিন মোল্লা, সফিজ উদ্দিন আহমেদ, দবির উদ্দিন সরকার, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, হুমায়ুন কবির, সেলিম রহমান, সফিকুল আমিন,খলিলুর রহমান, আজহারুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, খোরশেদ আলম সরকার, হাবিবুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ সরকার, মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, মেহেদী হাসান ফারুক, সফর আলী, তানভির আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, ফারুখ আহমেদ, ছব্দের হাসান, দেলোয়ার হোসেন, মাহবুব জসিম খান, শওকত আলম, হান্নান মিয়া, জাবেদ আলী, হাসান আজমল ভুইয়া, খাইরুল আলম, জান্নাতুর রহমান, রফিকুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সানাউর রহমান, ফজলুল হক চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, আজিজুর রহমান, বজলুর রহমান, সুলতান উদ্দিন, আসাদুর রহমান কিরণ, মাজহারুল ইসলাম, শাহ আলম রিপন, নূরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, সফি উদ্দিন, মোহাম্মদ বাদল, আবু বকর সিদ্দিক, মজিবুর রহমান খান, আতাউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ মো. আলী, মো. সেলিম হোসেন, আবুল হোসেন ও মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরা হলেন- পারভিন আক্তার, মাহমুদা আলম, শিরিন চাকলাদার, শাহানাজ, বকুল আক্তার, আমেনা খাতুন, পারভিন, আঞ্জুমানারা, নূরুন নাহার, আয়েশা আক্তার, সালমা খাতুন, রিনা আক্তার, শিরিন আক্তার, হুসনে আরা, সাহেরা আক্তার, কামরুন নাহার, নাসরিন, কেয়া শারমিন ও রাখি সরকার।