শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শেষ ম্যাচেও মান রক্ষা হলো না শচীন ব্লাস্টার্সের

শেষ ম্যাচেও মান রক্ষা হলো না শচীন ব্লাস্টার্সের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ঢাকা: নিউ ইয়র্কের পর হাউস্টন, এরপর লস এঞ্জেলেসেও শেন ওয়ার্নকে হারাতে পারলেন না শচীন টেন্ডুলকার। বরং অলস্টারর্স সিরিজের সবকটি ম্যাচে ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্সের কাছে হেরে লজ্জার ষোলকলা পূর্ণ করেছে শচীন ব্লাস্টার্স। সিরিজের তিনটি ম্যাচের সব’কটিতেই হারতে হলো শচীন ব্লাস্টার্সকে।

প্রথম দুই ম্যাচে সাঙ্গাকারা আর পন্টিংয়ের কাছেই মূলতঃ হারতে হয়েছিল শচীন-শেবাগদের। শেষ ম্যাচে এসেও সেই পন্টি-সাঙ্গা ধামাকা। সঙ্গে জ্বলে উঠলেন জ্যাক ক্যালিসও। ব্যাট হাতে এই ত্রি-মুর্তির রূদ্ররূপের কাছেই এক ফুৎকারে যেন উড়ে গেল শচীন বাহিনীর করা ২১৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জও। বরং এক বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিল ওয়ার্নার ওয়ারিয়র্স।

অথচ শেষ ম্যাচটায় এসে ভালো ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং মাহেলা জয়বর্ধনেরা। শচীন-সৌরভ তুলে নিলেন জোড়া হাফ সেঞ্চুরি। মাহেলা জয়াবর্ধনে করলেন ৪১ রান। ৩৩ রানে অপরাজিত থাকলেন কার্ল হুপার। তবুও শেষ রক্ষা হল না। এক সময়ের দুনিয়া কাঁপানো দুই বোলার গ্লেন ম্যাকগ্র্যা এবং কার্টলি অ্যাম্রোজ পুরোপুরি ব্যর্থ।

মূলত স্লগ ওভারে এই বোলারের অযথা রান দেওয়ার কারণেই অল স্টারস সিরিজের শেষ ম্যাচেও জিততে পারেনি শচীনের দল। হেরেছে চার উইকেটের ব্যবধানে। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে পাচ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে শচীন ব্লাস্টার্স। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ছ’উইকেটে ২২৪ রান তুলে নেয় ওয়ার্নরা। শেষ ম্যাচে হারের ফলে ৩-০তে সিরিজে হেরে গেলেন শচীনরা।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শচীন টেন্ডুলকার। এদিন প্রথম থেকেই মারমুখী ছিলেন শেবাগ। তিনটি চার ও দুটো ছক্কার সাহায্যে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর শচীন ও জয়াবর্ধনে ভালো ব্যাটিং করেন। দুটে চার ও ছ’টি ছক্কা মারেন শচীন। তিনি করেন ২৭ বলে ৫৬ রান। পিছিয়ে ছিলেন না জয়াবর্ধনেও। তিনি চারটি ছক্কা মারেন। ১৮ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর সৌরভ ও হুপারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। হুপারও ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। সৌরভ ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে করেন ৫০ রান।

২২০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ওয়ার্নের দল। শুন্য রানে আউট হন মাইকেল ভন। ১২ রান করে ফিরে যান ম্যাথ্যু হেইডেন। ১৯ বলে ৩১ রান করেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ২৪ বল খেলে ১৭ রান করে আউট হন জন্টি রোডস। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়ার্নেও দল।

তবে সাঙ্গাকারা আর পন্টিং মিলে ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্সকে জয়ের পথ দেখান। জন্টি রোডসের ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা সাঙ্গাকারা। ৪২ রান করে আউট সাঙ্গা। দলের রান ১১০ তখন। বেশি বল খেললেও ইনিংস ধরে রেখে দলের ১২৯ রানের মাথায় ফিরে যান রোর্ডস।

শেষের দিকে বাকি কাজটুকু দ্রুত সারার কাজ করেন পন্টিং (৪৩) আর ক্যালিস (৪৭)। পন্টিং অপরাজিতই থেকে যান শেষ পর্যন্ত। সিরেজের শেষ ম্যাচে ৪৭ রান করায় ম্যাচ সেরা হলেন ক্যালিস। আর পুরো সিরিজে অসাধারণ ব্যাট করায় সাঙ্গাকারা হলেন সিরিজ সেরা।