শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শেষ বেলায় রাজ্জাককে নিয়ে বিতর্ক

শেষ বেলায় রাজ্জাককে নিয়ে বিতর্ক

শেয়ার করুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোহরাওয়ার্দী শুভকে নিয়ে বিতর্কে ৯ই নভেম্বরের ব্রাদার্স-শেখ জামালের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়। বিসিবি-সিসিডিএমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাচটি গতকাল পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাতিল হয় ম্যাচে ব্রাদার্স ৬ উইকেটে জিতলেও এবার ৭০ রানে জিতেছে শেখ জামাল। সেই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। এতেই তাদের ভাগ্যে জুটেছে সুপার লীগে খেলার সুযোগ। দিন শেষে ব্রাদার্স এই ম্যাচ নিয়ে আপত্তি তুলে জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। তারা আপত্তি তুলেছে শেখ জামালের ক্রিকেটার রাজ্জাকে নিয়ে। ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমিন খানের দাবি রাজ্জাককে বোর্ড থেকে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত না খেলানোর জন্য চিঠি দিয়েছিল। শুধু তাই না রাজ্জাক ছাড়াও ব্রাদার্সের তামিম ইকবালসহ আরও তিন ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয়ার বিষয় উল্লেখ করে ১১ই নভেম্বর চিঠি দিয়েছিল বিসিবি। এই বিষয়ে আমিন খান বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বোর্ডের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তামিম আনফিট থাকায় তাকে আমরা খেলাইনি। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিল। কিন্তু বোর্ডে চিঠির পরও অনৈতিকভাবে শেখ জামাল রাজ্জাককে খেলিয়েছে। এই জন্য আমরা ম্যাচ রেফারির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত কি হবে এটি ম্যাচ রেফারি বুঝবেন।’
অনেকটাই আগেই শঙ্কা ছিল সুপার লীগের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে অপেক্ষা করছে বেশ নাটকীয়তার। আর নাটকের মঞ্চে এবার দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে আবদুর রাজ্জাককে। রাজ্জাক গতাকাল ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৯ রান করে ও ৩টি উইকেট নিয়ে হয়েছেন জয়ের নায়ক। আর নায়ককে শেষ বেলায় প্রিমিয়ার লীগের নয়া নাটকের মঞ্চে খলনায়ক বানিয়েছে ব্রাদার্সের অভিযোগ। আমিন খান আরও বলেন, ‘আমরা সকালে এসে দেখি রাজ্জাক মাঠে খেলছে। তখন আমরা এটি নিয়ে আপত্তি তুলি। ম্যাচ রেফারিকে বিষয়টি অবগত করি। তখন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান আমাদেরকে বলেন লিখিতভাবে জানাতে। পরে আমরা তাকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে লিখিতভাকে অভিযোগ করে চিঠি দিয়েছি।’
‘বিষয়টি এ ম্যাচ সংশ্লিষ্ট নয়’
এই বিষয়ে শেখ জামাল-ব্রাদার্স ম্যাচ শেষে ম্যাচের রেফারি রবিকুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ব্রাদর্স অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমি তাদের লিখিতভাবে অভিযোগ করতে বলি। তবে রাজ্জাক বা অন্য ক্রিকেটারা খেলতে পারবেন না। তারা আন ফিট এমন কোন চিঠি বোর্ড বা সিসিডিএম আমাদেরকে (ম্যাচ রেফারি) দেয়নি। আমরা জানতাম না তাদের না খেলানোর জন্য বোর্ড ক্লাবগুলোর অনুরোধ করেছে। এমনকি রাজ্জাক কোন নিষিদ্ধ ক্রিকেটারও না, যে তাকে আমরা ম্যাচে খেলতে দেবো না। আসলে রাজ্জাক ফিট না হয়ে খেলতে পারবে কি পারবে না এটি বোর্ড আর রাজ্জাকের বিষয়। কারণ, সে বিসিবি’র চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার। যে কারণে এটি এখন বোর্ড আর ক্রিকেটারের বিষয়। তাই আমি বলব, এই ম্যাচের সঙ্গে বিষয়টির কোন সম্পর্ক নেই। তবে আমি আম্পায়ার্স কমিটিকে চিঠিটি পাঠিয়েছি। তারা সেটি পাঠাবেন ক্রিকেট অপারেশন্সকে।’
‘আমি ফিট না আনফিট বিষয়টা শুধু আমার’
গতকাল ম্যাচ শেষে ম্যাচ জয়ের নায়ক আবদুুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসলে আমি ফিট না আন ফিট বিষয়টা সম্পূর্ণ আমার। এখানে ব্রাদার্স কথা বলার কে? বিষয়টি বুঝবে আমাদের ফিজিও। আমি তো সার্বক্ষণিকভাবে ফিজিওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সে তো জানে আমি এই ম্যাচ খেলবো। আমি যেখানে ফিট হয়ে খেলছি। সেখানে তো অন্য কারও আপত্তির বিষয় থাকে না।’ অন্যদিকে ম্যাচের এই জয়ের বিষয়ে বলেন, ‘যে ম্যাচে আমরা হেরে যাই আর শুনি সুপার লীগে খেলতে পারবো না তখন খুব খারাপ লেগেছিল। এখন ভাল লাগছে শেষ পর্যন্ত আমরা সুপার লীগে খেলতে পারছি।’
‘এটি বোর্ডের বিষয়’
বিসিবি নিষেধ করার পরও আবদুর রাজ্জাককে খেলানোর প্রসঙ্গে শেখ জামালের কোচ দিপু রায় চৌধুরী বলেন, ‘আসলে রাজ্জাককে নিয়ে বোর্ড যে চিঠি দিয়েছে সেটি বোর্ড আর রাজ্জাকের বিষয়। এই ম্যাচের সঙ্গে এটার কোন সম্পর্ক নেই। আর থাকার কথাও না। এখন বিষয়টা দেখবে বোর্ড। রাজ্জাকে যদি বোর্ড খেলতে না করে থাকে তাহলে তারা রাজ্জাকের সঙ্গে আলোচনা করবে। এখানে তো অন্য কারও কথা বলা বিষয় নয়।’