স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ক্ষণ গণনার দিন শেষ। বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পর্দা উঠছে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের। আর উদ্বোধনী ম্যাচেই আজ (বৃহস্পতিবার) মুখোমুখি ক্রিকেটের দুই জায়ান্ট দল-ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকা। ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এক নাম্বার দল ইংল্যান্ড। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। র্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান তিন। বড় এই দুই দলের মধ্যে তাই কাউকেই জোর কদমে এগিয়ে রাখার উপায় নেই।
তবে ইংল্যান্ডকে চাইলে কেউ একটুখানি এগিয়ে রাখতে পারেন। শুধু ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার দল বলেই নয়। খেলাটা হচ্ছে তাদের ঘরের মাঠে, যেটা ইংলিশদের জন্য সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ।
তাছাড়া ইংল্যান্ডের এই দলটি সাম্প্রতিক সময়ে আছেও দুর্দান্ত ফর্মে। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের কারণে এবারের বিশ্বকাপে টপ ফেবারিট ধরা হচ্ছে তাদের।
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটিং লাইন আপ এই ইংল্যান্ডেরই। ওপেনিং জুটির জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টোর স্ট্রাইকরেট ওয়ানডে ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ (কমপক্ষে ১ হাজার রান করা ওপেনারদের মধ্যে)। বাকিরাও কম যান না। মিডল অর্ডারের ইয়ন মরগান আর জো রুট আছেন, দলের প্রয়োজনে ধরে খেলা কিংবা মারকুটে ব্যাটিং; দুটোতেই সিদ্ধহস্থ তারা। আর বিধ্বংসী জস বাটলারকে বর্তমান বিশ্বের ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যানই বলা হয়।
হাতের চোটের কারণে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ মিস করলেও মরগান আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এটা স্বাগতিকদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। আর শেষ মুহূর্তে দলে অলরাউন্ডার জোফরা আর্চারের অন্তর্ভূক্তি ইংল্যান্ডের জন্য বড় প্লাস পয়েন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে অবশ্য ইংল্যান্ডের মতো হট ফেবারিট ধরা হচ্ছে না। তবে বড় টুর্নামেন্টে বরাবরই উপরের দিকে থাকে তারা। প্রোটিয়াদের এবারের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বোলারদের দুমড়ে মুচড়ে দেয়ার জন্য ওপেনিংয়েই থাকছেন কুইন্টন ডি ককের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে অভিজ্ঞ হাশিম আমলা আর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের চওড়া ব্যাট দলকে যে কোনো পরিস্থিতিতে উৎড়ে দেবার জন্য যথেষ্ট।
বোলিং নিয়ে কিছুুটা দুশ্চিন্তা আছে, চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না অভিজ্ঞ পেসার ডেল স্টেইন। তবে ২৪ বছর বয়সী কাগিসো রাবাদা আছেন, যিনি একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। সঙ্গে ইমরান তাহিরের ঘূর্ণি জাদু ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপকে ভোগাতে পারে।
দুই জায়ান্টের এমন লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এখন দেখার!