বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোয়া ৮টা) দিকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ হাইকমিশনের উচ্চপদস্থরা।
দিল্লি থেকে টেলিফোনে হাইকমিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী এসব কথা জানান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তার ছোটবোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলও এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, দিল্লি পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যে অংশ নিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করবেন। পরে সকাল ১০টার দিকে হোটেল তাজ প্যালেসে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। দিনের পরবর্তী সময় হোটেলে অবস্থান করে স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ঢাকার সময় সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
শুভ্রা মুখার্জি মঙ্গলবার সকালে দিল্লির একটি হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
শুভ্রা মুখার্জির মৃত্যুতে পৃথক শোকবাণীতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের রয়েছে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা। শুভ্রা মুখার্জি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকার সময়ও তার খোঁজখবর নিতেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।