আকরাম হোসেন রিপন
স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশবাসী দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করলেও এখনো কান্না থামেনি গাজীপুরের কাপাসিায়া থেকে তারুণ্যের আন্দোলনে শহীদ হওয়া জাকির হোসেন (৩৫) এর পরিবারের। ছেলে জাকিরের মুখ থেকে আর একটি বার মা ডাক শুনতে চান মোমেনা বেগম। আর অবুঝ দুই সন্তান নিয়ে এখন কোথায় দাঁড়াবেন তা নিয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন স্ত্রী জান্নাতুল নাইম।
যার চলে যায় সেই বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা। অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন কি দিয়ে দিব শান্তনা এই কথাগুলোই এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ জাকির হোসেনের পরিবারের। জাকিরের অবুঝ দুই সন্তান আব্দুর রহমান (৬) ও বাইজিদ (২) তাদের মুখের দিকে তাকালে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলবে যে কেউ। নিহত জাকির হোসেনের দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বয়োজ্যেষ্ঠ পিতা আঃ সামাদ।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং সরকার ও বিভিন্ন মহলের কাছে পরিবারটি স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে নেওয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, কাপাসিয়া উপজেলার চরদুর্লভখাঁ গ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৩৫) আন্দোলন চলাকালে ১৯ আগস্ট বিকেলে ভিমবাজার এলাকা থেকে ব্যবসার কাজে উত্তরা গেলে পথে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ আগস্ট ভোরে তার মৃত্যু হয়।