শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > শিশুরা কী ধরনের সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছে?

শিশুরা কী ধরনের সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছে?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হচ্ছে- এসব দেশে সাইবার বুলিং-এর ঝুঁকি উদ্বেগজনক এবং বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে এই জরিপটি চালায় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর। এই জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৪ পর্যন্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের আরো কমবয়স্ক শিশুরা কতটা সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছে তার তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে। গ্রামীণ ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশিস রায় বলছিলেন, ‘শিশুরা সবচেয়ে বেশি যে অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছে সেটা হলো অভদ্র বা অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ তারা দেখছে। আর এটা তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে’।

রায় বলছেন ‘অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে যেমন বিরূপ মন্তব্যের মধ্যে পড়ছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া বা চ্যাট করতে গিয়েও তারা যেসব ভাষা বা মন্তব্য দেখছে- সেটা অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বাচ্চাদের জন্য যে ভাষা উপযুক্ত নয় সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে অনলাইনে। অনেকে বুঝতেও পারছে না তারা সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছে’।

জরিপে বলা হচ্ছে, যাদের সন্তানেরা অনলাইনে গেম খেলে তাদের সাইবার বুলিং-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনলাইনে যারা সাধারণ ব্রাউজিং করে তাদের চেয়ে বেশি।

জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাদের সন্তান এবং পরিচিত শিশুরা বিশেষ করে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। এটা ঘটে বিশেষ ওয়েবসাইটে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফরমে।

আর ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী ও যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য।

‘জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের সঙ্গে ইন্টারনেট ও অনলাইনে আচরণ কিভাবে করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। আর ৩৯ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তারা মাঝেমধ্যে সন্তানদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে ১২ শতাংশ অভিভাবক সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে কখনোই সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করেননি’- জানান মি. রায়।

দেবাশিস রায় বলছিলেন, অনেক অভিভাবক জানেনই না তাদের সন্তান কী করছেন ইন্টারনেটে, আর এটা আরো বিরূপ প্রভাব ফেলছে ওই শিশুর ওপর। তবে যারা সচেতন তারা তাদের সন্তানদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন, এমনটাই উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির জরিপে।

সাইবার বুলিংয়ের অভিজ্ঞতা শিশুদের ওপর নানা প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে যারা জানে না অনলাইনে বুলিং কী বা কিভাবে এর মোকাবিলা করতে হয় সেসব শিশুদের বড় একটা অংশ হতাশায় ভুগছে।

তবে ২৪ শতাংশ উত্তরদাতার মতে এ অবস্থা শিশুদের আরো অনেক সাবধানী করে তোলে এবং তারা নিজেদের অনলাইনে আত্মরক্ষা করতে শেখে। মানব জমিন