শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শিবচরে নদী ভাঙনে মহাসড়ক ঝুঁকিতে

শিবচরে নদী ভাঙনে মহাসড়ক ঝুঁকিতে

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি ॥
মাদারীপুর: আড়িয়াল খাঁ নদের তীব্র ভাঙনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক রক্ষা বাঁধের মাদারীপুরের শিবচর অংশের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুর পশ্চিম এলাকার একাধিক স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ’ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় দেশের গুরুত্বপুর্ণ ঢাকা-খুলনা বা বরিশাল মহাসড়ক চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত ২১ জুলাই বিকেলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ২/৩ দিন ধরে আড়িয়াল খাঁ নদে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর পশ্চিম পার্শ্বের এলাকার শিবচরের দত্তাপাড়া ইউনিয়নের বাঁচামারা রহিমউদ্দিন হাজীরকান্দি ও সন্ন্যাসীরচরের গুপ্তেরকান্দি এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক রক্ষা বাঁধের অন্তত তিনটি স্থানের দেড়শ’ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও মহাসড়ক ভাঙনের কবলে পড়তে পারে এমন অন্তত ৫শ’ মিটার এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ সব এলাকার অন্তত ১৫টি ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মহাসড়ক থেকে নদী বর্তমানে মাত্র দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ মিটার দূরে অবস্থান করছে।

এরআগে হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতু নির্মাণের সময় এর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কটি নিরাপদ রাখতে সেতু গাইড বাঁধ থেকে পুরাতন ফেরি ঘাট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মহাসড়ক রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।

এরপর ২০০৭ সালে নদী ভাঙনে বাঁধটির অসংখ্য স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে এ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ৭০৯ মিটার মেরামত করা হয়।

গত ২১ জুলাই বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে আসেন মাদারীপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কবিরউদ্দিন ।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল তালুকদার বলেন, “গত দুই দিনে মহাসড়ক রক্ষা বাঁধে দেড় থেকে দুইশ’ মিটার নদীতে বিলীন হইয়া গেছে। আমাগো অনেক ঘর বাড়ি ফসলও নদীতে গেছে। তাড়াতাড়ি ভাঙন না ঠেকাইলে নদী মহাসড়ক গিইল্যা খাইবো।”

আরেক বাসিন্দা হালিম মৃধা বলেন, “এই মহাসড়ক দিয়া প্রতিদিন হাজার হাজার বাস ট্রাক চলে। এই রাস্তা নদীতে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হইয়া যাইবো।”

মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কবিরউদ্দিন বলেন, “মহাসড়ক রক্ষা বাঁধ ভেঙে মহাসড়কটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। নদী থেকে মহাসড়ক মাত্র আড়ইশ’ মিটার দূরে রয়েছে।”

মাদারীপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।