শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শিক সমিতি বিরুদ্ধে অবস্থান জাবি সাধারণ শিক পর্ষদের

শিক সমিতি বিরুদ্ধে অবস্থান জাবি সাধারণ শিক পর্ষদের

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক সমিতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ‘সাধারণ শিক পর্যদ’ ব্যানারের শিকরা।
সোমবার শিক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর সাথে দ্বিমত পোষণ করে সমিতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন তারা। তবে সমিতির নেতারা কোনো চিঠি পাননি বলে জানান।
শিক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো আচার্যকে জানানো, চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি তৃতীয় প হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সাবেক অবসরপ্রাপ্ত উপাচার্যের সাথে আলোচনা ও উপাচার্যের চিঠির জবাব দেওয়া।
শিক সমিতির সভাপতি বরাবর দেওয়া চিঠির মাধ্যমে ‘সাধারণ শিক পর্ষদ’ ব্যানারের পে অধ্যাপক আহমেদ রেজা জানান, আমরা শিক সমিতির নামে চলমান আন্দোলনের কোনো নৈতিক ভিত্তি খুঁজে পাই না। আমাদের বিবেচনায় শিক সমিতির নামে যে আন্দোলন করা হচ্ছে, তা শুধু অযৌক্তিকই নয়, পপাতদুষ্ট এবং অশোভন।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন পদেেপর বিরুদ্ধে যেসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে তথ্য বিকৃতিকে অবলম্বন করা হয়েছে। এই আন্দোলনে যুক্তি এবং শিকদের মর্যাদার দিকে কোনো প্রকার গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ইতোপূর্বে শিক সমিতির সভায় আমাদের বক্তব্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না বলে বারবার অভিযোগ উত্থাপন করেছি। তাই আজকের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি।
চিঠিতে তারা বলেন, উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অশোভন বলে আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ রাখার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করারও বিরোধিতা করছি। একইসঙ্গে আজ থেকে বিগত ১০ বছরের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য মহামান্য আচার্যের কাছে অনুরোধের দাবি জানাচ্ছি।
সার্বিকভাবে আমরা শিক সমিতির নামে পরিচালিত এই আন্দোলনের বিপে অবস্থান নিয়েছি। আমরা মনে করি যে, শিক সমিতির ব্যানারে এই আন্দোলন চলতে পারে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সংকট নিরসন করা সম্ভব বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এ বিষয়ে যথাসম্ভব দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে সংকট নিরসন করা আহ্বান জানাচ্ছি।
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কোন চিঠি পাই নি।’