শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখবে জিপিএ-৫ ‘মাকাল ফল’ কি না

শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখবে জিপিএ-৫ ‘মাকাল ফল’ কি না

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাবলিক পরীক্ষায় পাস ও জিপিএ-৫ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় উদ্বিগ্ন সরকার। এজন্য শিক্ষার মান যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কী ফলাফল করছে- তা বিশ্লেষণ করে এই মান যাচাই করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৬ সাল থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা কেমন ফল করছে তা তুলনা করা হবে।

এটা করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমল থেকে বর্তমান পর‌্যন্ত সময়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এজন্য ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর‌্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রস্তুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যেখানে মোট শিক্ষার্থীর ৯.৯৭ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে; ২০১৩ সালে পেয়েছে ৭.০৩ শতাংশ। আর ২০০৬ সালে ২.৯৪ শতাংশ এবং ২০০৭ সালে তা ছিল ৩.০৬ শতাংশ।

প্রত্যেক বছর অল্প অল্প করে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ও পাসের হার বাড়ছে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কাছে তথ্য চাওয়া হবে, সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেমন ফলাফল করছে।

এসএসসি ও এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ’র শতকরা হার বাড়ার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কতজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বর্ষে প্রথম শ্রেণি পাচ্ছে তা তুলনা করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পাসের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণির সংখ্যা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা দিন দিন ভাল ফল করছে। যারা সমালোচনা করছে তাদের সঙ্গে আমরা তথ্য নিয়ে কথা বলতে চাই।

মান বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও ইন্টিগ্রেটর দিয়ে তা বিচার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।