বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের!

শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের!

শেয়ার করুন

রাবি প্রতিনিধি ॥
রাবি (রাজশাহী): শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদানের দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিশারিজ বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় ফিশারিজ বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন-বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান। ওই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আট শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ২০১১-১২ সেশনের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা, আগামী ১০ বছর বিভাগের কোনো শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত বছরের ৭ জুলাই মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেই সময়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত (২০১১-১২ সেশন) আট শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল, বোরখা পরায় এক ছাত্রীকে অপদস্থ করা, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনুগত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বলে দেয়া, ওই শিক্ষকের কথা মতো না চললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান। শিক্ষার্থীদের করা ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের প্রফেসর ড. ইসতিয়াক হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়।

সোমবার বেলা দেড়টা থেকে শুরু হওয়া ফিশারিজ বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা। বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ইসতিয়াক হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। তবে একাডেমিক কাউন্সিল বিষয়টি আমলে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।

এ ব্যাপারে শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মুহম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগকরার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’