শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > শহীদ মিনারে রক্ত সাক্ষর সাতক্ষীরায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের

শহীদ মিনারে রক্ত সাক্ষর সাতক্ষীরায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চার দফা দাবি আদায়ের জন্য শরীরের ঢেলে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে সাক্ষর করার সময় চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান তানভির, তৃতীয় বর্ষের মোঃ সেলিম, ছাত্রী স্নেহা খাতুন, তানিয়া খাতুন, মৌসুমী সাহা ও প্রথম বর্ষের শামীম হাসান বলেন,২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু, শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণ, মেডিকেল কলেজের দক্ষ ব্যবস্থানা কার্যক্রম ও ছাত্র ছাত্রীদের ব্যবহারিক কাজের জন্য কলেজের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থার দাবিতে গত শনিবার থেকে তারা আন্দোলন সংগ্রাম অব্যহত রেখেছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা বুধবার সকাল ৯টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী শহীদ মিনার পাদদেশে থার্মোকলের ওপর কাপড় রেখে তাতে নিজ নিজ শরীরের রক্ত দিয়ে হাত ছাপের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
তাঁরা বলেন, চার বছর আগে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া আমতলায় ২৭টি বিষয়ের মধ্যে আটটি বিষয়ে পঠনপাঠনের মধ্য দিয়ে মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। সেখান থেকে ৫৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৪ জন শিক্ষক শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাকালে নবনির্মিত ভবনে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২৫০ শয্যা হাসপাতাল না থাকায় শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষে উঠলেও শল্য চিকিৎসার ব্যবহারিক ক্লাস ঠিকমত হচ্ছে না। কলেজ থেকে হাসপাতালে যেতে একটি এম্বুলেন্স ব্যবহার করায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে তাঁদের ব্যবহারিক শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ দাবি পূরণের লক্ষ্যে তাঁরা শনিবার থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
এদিকে রক্ত দিয়ে স্বাক্ষর কর্মসূচি চলাকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহাসান সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা এস জেড আতিক, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী ফারুক আহম্মদ। এ সময় জেলা প্রশাসক আনোদালনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদের সঙ্গে কথা বলে বকেয়া পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে নতুন হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। একইসাথে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫২ সিটের একটি বাস দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে সারা দেশে মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক সংকট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি সড়ক অবোরধের মতো কর্মসূচি পালন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে শিক্ষার্থীরা বাকাল এলাকায় মাদক বিক্রি, সীমানা প্রাচীর না থাকায় বর্ষার পানি শুকিয়ে গেলে মেয়েদের হোস্টেলের পিছনে মাদক সেবনের প্রতিকার দাবি করেন। এ ছাড়া কলেজ ক্যান্টিন, কলেজের সামনে স্পিড ব্রেকার ও বাস স্টপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক এ সব সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দেন। একইসাথে তাঁরা জেলা প্রশাসকের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরে আন্দোলন বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।