বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
শরীয়তপুরে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িসহ ৪টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীন ও অবরুদ্ধ বলে দাবি পরিবারের।
বৃস্পতিবার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। পালং মডেল থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
চন্দ্রপুর গ্রামের আবদুল রহমান হাওলাদার জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সালাম খানসহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মেহেদী জামিল, আ. রব হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার ও নাইম ফকিরের ঘরের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র, ঘরের দরজা-জানালা ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ভুক্তভোগীরা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থক।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মেহেদী জামিল বলেন, আমার বাড়িসহ ৪টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেয়ার অশ্বাস দিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই মেহেদী জামিলের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে। হামলার খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পালং মডেল থানায় কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের দাবি প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
মেহেদী জামিলের ভাবি পারুল বেগম বলেন, আমরা সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থক ছিলাম। নির্বাচনে সে মনোনয়ন না পাওয়ায় আমরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের লোকজন হাটবাজারে যেতে পারছে না। আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমরা অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছি।
মেহেদী জামিলের বড় ভাই আবদুল রহমান হাওলাদার বলেন, নির্বাচনের পর থেকে স্থানীয় আসলাম সরদার, মোকতার শিকদার, মান্নান সিকদার, ইলিয়াস শিকদার, শামীম ফরাজীদের হুমকির কারণে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগের লোকজন তাই প্রধানমন্ত্রী কাছে এ বিচার চাই।
এ বিষয়ে সালাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থালে গিয়েছিলাম। ৬টি জানালা ভাঙচুর করেছে। যারা ভাঙচুর করেছে তাদের নাম নিয়ে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও কোনো মামলা হয়নি।