রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > শনিবার দুই কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’

শনিবার দুই কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) সারাদেশে পালিত হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এর আওতায় দুই কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লক্ষাধিক কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ৬-১১ মাস বয়সী ২৩ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ২৭ লাখ শিশুকে ক্যাম্পেইনের আওতায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। আর অসুস্থ শিশুদের ক্যাপসুল না খাওয়াতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

ক্যাম্পেইনের আওতায় শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

শিশুদের বছরে দু’বার ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হয় জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিটি শিশুর জন্য ব্যয় হয় আট টাকা। বছরে দুই রাউন্ডে খরচ হয় ১৪ কোটি টাকা।

ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানের উপকারিতা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতকানা রোগ থেকে রক্ষার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা, মৃত্যুর হার কমানো, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও হামের জটিলতা কমায়।

৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের একটিও যেন ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক সবার সহযোগিতায় এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন খাওয়ানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, খেয়াঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশনে অবস্থান করবে।

দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য পরবর্তীতে আরও চার দিন (১১-১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয় ছাড়াও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।