শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > লোকসান ও হতাশার মধ্যে শেষ হচ্ছে এবারের বাণিজ্যমেলা

লোকসান ও হতাশার মধ্যে শেষ হচ্ছে এবারের বাণিজ্যমেলা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: লোকসান এবং হতাশার মধ্যে শেষ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৫। মেলার শেষদিকে ভিড় বাড়লেও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ উঠে আসবে না। প্রায় প্রত্যেককেই মেলা শেষে বড় একটি সংখ্যার লোকসান গুনতে হবে বলে ধারণা করছেন।
সোমবার ঢাকা আন্তর্জান্তিক বাণিজ্যমেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলের মালিকরা এভাবেই বলছিলেন তাদের হতাশার কথা।
তারা বলছেন, মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। শেষ দিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসছেন মেলায়। বেচাকেনা বেশ জমে উঠেলেও টানা-হরতাল অবরোধে ক্রেতারা মেলায় আসতে পারেনি।

তবে সারা মাসের সার্বিক বেচাকেনা বিবেচনা করলে মেলায় লোকসান থেকেই যাবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরতাল-অবরোধের কারণে শুরু থেকেই মেলায় বেচাকেনা কম ছিল। পুরো মাস জুড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনাও তুলনামূলক কম ছিল।
ব্যবসায়ীদের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনা করে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দশদিন বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই বাড়তি সময়েও ব্যবসায়িক লোকসান ঘোচবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলায় বিনিয়োগ করা টাকার ৭০শতাংশের বেশি উঠে আসবে না।
তুর্কিস প্যাভিলিয়নের শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ১০দিন সময় বাড়ানোর পরও অর্ধেকের বেশি পণ্য অবিক্রিত রয়েছে। বিগত দিনগুলোর চেয়ে রোববার থেকে বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু এতে লোকসান কমবে না। ৩০ শতাংশ লোকসান থেকেই যাবে।
পাকিস্তান প্যাভিলিয়নের তাহের চান্দিওয়াল বলেন,‘উই আর ডাউন! অনলি লস, লস অ্যান্ড লস। মেলা শেষে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে।
প্রায় ১০ লাখ টাকার লোকসান হবে বলে আশঙ্কা করছেন এই শাল ব্যবসায়ী।
শুধু বিভিন্ন পণ্য কিংবা তৈজসপত্রের স্টলই নয়, লোকসানের আশঙ্কা করছেন রেস্তোরাঁ ও হোটেল মালিকরাও।
স্টার কাবার অ্যান্ড বিরিয়ানির ম্যানেজার মুরাদ হোসেন জানান, প্রতিদিন দোকান ভাড়া ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ টাকাই উঠছে না। খুবই খারাপ অবস্থা।
এদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পণ্য বিক্রি করতে মেলায় চলছে ছাড়ের বাহার। নগদ ছাড়, ফ্রি পণ্য দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার সব চেষ্টাই করছেন বিক্রেতারা।
মেলায় সবচেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যেগুলোতে। মোবাইল ফোনে ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে।
আর হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মোটর সাইকেল, এসি ও টিভিতে ৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্যে একটি কিনলে দুটি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
দেশীয় ব্রান্ডের স্মার্টেক্স প্যাভিলিয়নে টি-শার্ট, গেঞ্জি, শার্ট, প্যান্ট, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, পাঞ্জাবী, ফতুয়াসহ মেয়েদের থ্রি-পিছ, শাড়ি, প্যান্ট, টি-শার্টসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৭০ শতাংশ ছাড় চলছে। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম