শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > লেবাননে ইরানের মিসাইল প্লান্টে হামলা চালাবে ইসরায়েল

লেবাননে ইরানের মিসাইল প্লান্টে হামলা চালাবে ইসরায়েল

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সিরিয়ায় ইরান মিসাইল তৈরি করছে এমন অভিযোগে দেশটিতে বিমান হামলা চালানোর পর ইসরায়েলি গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সৌদি দৈনিক এলাপকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, লেবাননেও তার দেশ হামলা চালাবে। ইসরায়েলি মিডিয়া হারেৎজ এ খবর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল লেবাননে হামলা করতেই পারে যেমন ঘটেছে সিরিয়ায়। তিনি ইতিমধ্যে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ দিয়ে বলেছেন, আরব বিশ্বের নেতা হিসেবে সৌদি আরব ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় দেশটি প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে এবং তা হলে তার দেশ সানন্দে তাতে অংশ নেবে।

কাৎজ সৌদি দৈনিককে আরো বলেন, তার দেশ লেবাননে ইরানের সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না। হারেৎজকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে ইসরায়েলে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়নি কাৎজ নিশ্চিত করলেও সৌদি পত্রিকা তার সাক্ষাতকার প্রকাশের সময় বিষয়টি এড়িয়ে যায় বলে দাবি করছে ইসরায়েলি মিডিয়া। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো স্থাপন হয়নি।

কাৎজ আরো বলেন, লেবাননে ইরানের মিসাইল প্লান্ট নিয়ে ইসরায়েল খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের কাছে তথ্য আছে লেবাননে ইরান মিসাইল প্লান্ট করছে। যে কোনো মূল্যে আমরা তা হতে দেব না। ইরান কি করছে সে সম্পর্কে ইসরায়েলের পরিস্কার ধারণা রয়েছে। ইরাকি নেতার লেবানন সফর ইসরায়েলকে দেশটির দেওয়া কোনো বার্তা কি না সৌদি মিডিয়ার এমন প্রশ্নের উত্তরে কাৎজ বলেন, ইসরায়েলের জন্যে ইরানের কোনো বার্তার প্রয়োজন নেই।

গোয়েন্দামন্ত্রী আরো বলেন, হিজবুল্লাহর হাতে মিসাইল গেলে তা ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা হবে এবং তা হলে সারা লেবানন হবে ইসরায়েলের টার্গেট। আমরা লেবাননকে পাথরের যুগে নিয়ে ছাড়ব। ২০০৬ সালে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধের কথা স্মরণ করে কাৎজ বলেন, এখন যে ধরনের হামলা হবে সে তুলনায় ওই যুদ্ধ পিকনিকের মত মনে হবে। এসময় তিনি সৌদিমন্ত্রীর দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহকে হটিয়ে দেওয়ার কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর কোনো ইচ্ছা নেই কিন্তু দেশটি থেকে ইসরায়েলে হামলা হোক তা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পরামর্শ দিয়েছি জাতিসংঘের অধিনেই আমরা ইরান ও লেবাননের ওপর অবরোধ আরোপ করতে পারি। যেভাবে ২০০৬ সালে লেবাননের ওপর আরোপ করা হয়েছিল। হিজবুল্লার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘের পাশাপাশি তিনি চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতা পাওয়ার আশা করেন।