রায়হান পারভেজ
জেলা প্রতিনিধি ॥
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলেম সমাজের সাথে বৈঠক করেছে প্রশাসন। শনিবার পাটগ্রাম শহীদ আফজাল হোসেন হলরুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের ডিআইজি দেবদাশ ভট্টাচার্য বলেন, বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। ছোট একটি ঘটনাকে রং দিয়ে পেছন থেকে কেউ সুযোগ নিতে পারে। তাই পুরো ঘটনাটি একাধিক সংস্থা তদন্ত করছেন। একটু অপেক্ষা করুন প্রকৃত রহস্য বের হবে।
এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা পুরো ঘটনাটিকে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাশ ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল বন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৪২) পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই লাশ পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।