লালমনিরহাটে কৃষ্ণচূড়া ফুলে ফুলে লাল হয়েছে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

“কৃষ্ণচূড়া তোমার রঙে/ ছড়ায় কত আলো!/ আমার ছোট্ট অণু যে নেই/ লাগছে না তাই ভালো!” -কবি সৈম্য কান্তি চক্রবর্তীর কালজয়ী “কৃষ্ণচূড়া” কবিতার চরণগুলি আজ আর তেমন বাস্তবে দেখা যায় না। দেখা মেলে না লাল রঙে রাঙানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের লহিত লাল রং। জলবায়ু পরিবর্তন আর বিভিন্ন সামাজিক কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে চির চেনা কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো।এখন আর আগের মত গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে কোকিল দেখা যায় না।

শহর জীবনের কর্মব্যস্ততায় হয়তো শিরদাঁড়া উচু করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়াকে পাশ কাটিয়ে গেছেন অনেকে। কিন্তু এক পলক দৃষ্টিতে যারা দেখেছেন রক্ত রাঙা একঝাক কৃষ্ণচূড়া ফুটে উঠতে; তারা কেবলই হয়েছেন পুলকিত।

পুলক ছড়িয়েছে, ছড়াবে মনে প্রাণে। নতুন বছরে নতুন করে রাঙিয়ে যেতে কৃষ্ণচূড়ার সাজে মন সাজালে ক্ষতি কি? এতো কৃষ্ণচূড়ার ফুলে মুগ্ধ দৃষ্টি দেওয়ার দিন। মেঘলা আকাশ কিংবা মেঘ মুক্ত। গাছের মগডালে জেগে ওঠা কৃষ্ণচূড়ার জুড়ি নেই বটে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু। আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগ তো রয়েছেই।

সৌভাগ্যক্রমে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ফুলটির গাছ এখনও টিকে রয়েছে।লালমনিরহাট জেলার শহরের রেলওয়ে স্টেশন হতে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ সড়কের পাশে দন্ডিত অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছে রয়েছে। তবে লালমনিরহাটের এ সড়কের লাল রঙের হাজারও ফুল ফুটিয়ে প্রাকৃতিতে এনেছে এক অন্য রকম প্রকৃতি।

আমাদের এই বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেখা যায়। একটি আগুনের মত উজ্জ্বল লাল, অন্যটি লাল ও সামান্য হলুদ। তবে লাল কৃষ্ণচূড়ার প্রাচুর্যই বেশি চোখে পড়ে। লাল হলদেটে রঙের কৃষ্ণচূড়া বর্তমানে বেশ বিরল।

কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত একটি ফুল। বাঙালির কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় এ ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় উঠে এসেছে। শোভাবর্ধন কারী এ কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্বিত্ব নিয়ে কোন রকমে টিকে আছে লালমনিরহাট জেলা শহরের পথে প্রান্তরে।

জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাষ্কায়। ভীনদেশী এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের বাংলাদেশে এসে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হয় রাধাঁ ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে ব্যস্ত পথচারীও থমকে তাকাতে বাধ্য হন। এ ফুলের সৌরভে শালিক, ফিঙ্গে, ঘুঘুসহ দেশি প্রজাতির নানা পাখি আজ মাতোয়ার।

কবি ও সাহিত্যিক মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির বলেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে লালমনিরহাটের স্টেশন সড়ক রক্তিম রঙে লাল হয়েছে। যা দেখতে প্রকৃতি প্রেমিদের ভালো লাগছে।

শেয়ার করুন

Related News

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫