বিনোদন ডেস্ক ॥
ভারতের রানাঘাট স্টেশনের ভিক্ষুক এখন সময়ের সেলিব্রেটি। খবরের শিরোনামে আসছে তার নাম প্রতিদিনই।
তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে আলোচিত মানুষ। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছেন। তার নাম রানু মণ্ডল। রেলস্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করা নারী এখন প্লেব্যাক করছেন বলিউড সিনেমায়।
রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া সেই পাগলি রানু মন্ডলের জীবনের অন্যতম দিন ছিল গত ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন বলিউডে প্লেব্যাক করা তার প্রথম গান ‘তেরি মেরি কাহানি’ মুক্তি পায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই গান ভাইরাল হলে চারিদিকে তার প্রতিভার প্রশংসার ফুলঝুড়ি চলে। শুধু তাই নয়, এরপর রানুকে দিয়ে ভারতের সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিমেশ রেশমিয়া ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবির জন্য দুটো গান রেকর্ড করান।
সবাই যখন রানু মণ্ডল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত তখন ভারতের কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকের জানালেন ভিন্ন কথা।
কোনো সঙ্গীত শিল্পীর এমন আচমকা খ্যাতিকে ইতিবাচকভাবে দেখেননি ৮৯ বছর বয়সী এই মেলোডি কুইন।
তিনি মনে করেন, রানুকে আরও মৌলিক গান উপহার দিতে হবে। তবে তার প্রশংসা করা যাবে। আমার কিংবা কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রফি, মুকেশ ও আশা ভোঁসলের গান গেয়ে হঠাৎ করে আলোচনায় আসা যায়, জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। কিন্তু তা বেশিদিন টেকে না। কারণ অনুকরণ করে সাফল্য পাওয়া যায়, কিন্তু টিকে থাকা মুশকিল।
নিজের বোন আশা ভোঁসলের উদাহরণ দিয়ে লতা বলেছিলেন, যদি আশা নিজের স্টাইলে গান না গেয়ে আমাকে নকল করত তবে সেও আজ আশা হতো না।
কিংবদন্তির এমন সব মন্তব্য কী হিসেবে নিয়েছেন রানু সে বিষয়ে কৌতূহল ছিল তার ভক্তদের মনে।
ভক্তদের সে কৌতূহল মিটিয়েছেন রানু। ভারতের হিন্দি সংবাদপত্র নবভারত টাইমসকে এক সাক্ষাতকারে রানু জানিয়েছেন, লতার সেই মন্তব্য মোটেই খারাপভাবে নেননি তিনি। এমন কিংবদন্তি যে তাকে নিয়ে ভেবেছেন তাতেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘লতাজির কাছে আমি অনেক ছোট। সবসময়ই আমি তার চেয়ে ছোটই থাকব। ছোটবেলা থেকেই আমি লতাচির ভক্ত। তার গান নকল করেই এতোদূর এসেছি। রানাঘাটে লতাজির গান গেয়েই আমার আজ এই খ্যাতি। লতাজি আমাকে নিয়ে যা বলবেন সবই আমার জন্য প্রেরণা ও আশির্বাদ।’
এর আগেও এমনই মন্তব্য এসেছিল রানু থেকে। তিনি বলেছিলেন,‘রেলস্টেশনে গান গাওয়ার সময় কখনও বুঝিনি এমন সুযোগ আসবে। নিজের কণ্ঠের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমার। লতাজির গায়কীতে অনুপ্রাণিত হয়েছি আমি। ’