শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > লজ্জার হারে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ

লজ্জার হারে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ৫৭ রানে ৩ উইকেট থেকে ৭০ রান পর্যন্ত যেতেই ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৪৮ রানের জবাবে ৭০ রানে গুটিয়ে ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৪৭ রানে আটকে রাখলেও ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং বাংলাদেশকে নতুন এক লজ্জা দিল। বছরের তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ হারলো মুশফিকের দল।
এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং জুনে ভারতের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান।
ইনিংসের শুর“তেই সাজঘরে ফেরেন প্রথম ম্যাচে শতক হাঁকানো আনামুল হক বিজয় (৭)। সুযোগ পাওয়া ইমর“ল ও শামসুর নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মিড উইকেটে সিমন্সের তালুবন্দি হন ইমর“ল (১)। আর দশম ওভারের শেষ বলে কেমার রোচের বলে বোল্ড হন শামসুর রহমান শুভ (৪)।
সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও তামিম দলকে ৫৭ রান পর্যন্ত টেনে নেন। পরের গল্পটা শুধু ক্যারীবিয়ান বোলাররদের।
টাইগার শিবিরে একের পর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাটিতে নামিয়ে আনেন স্পিনার সুনিল নারিন, কেমার রোচ ও রবি রামপল।
৫৭ রানে স্পিনার সুনিল নারিনের লাফিয়ে উঠা বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুশফিক (৬)। পরের বলেই বোল্ড মাহমুদুল্লাহ (০)।
নারিনের ঘূর্ণির পর কেমার রোচের বলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তামিম ইকবাল। ৫০ বলে ৩৭ রান করেন এই ওপনোর। ৩ রান যোগ হতেই সোহাগ গাজীকে সাজঘরে ফেরত পাঠান নারিন। ২ রান করেন তিনি।
এরপর দলীয় ৬৬ রানে নাসির হোসেন (৬) ও ৭০ রানে মাশরাফি বিন মর্তুজা (২) আউট হন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭০ রানে আউট হন আল-আমিন হোসেন। অপরাজিত থাকেন দলে ফেরা আব্দুর রাজ্জাক।
স্পিনার নারিন ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৪৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বো”চ ৫৮ রান করেন ক্রিস গেইল। এ ছাড়া ড্রারেন ব্রাভো ৫৩ ও সিমন্সের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।
ইনিংসের শুর“তেই ক্যারিবিয় শিবিরে আঘাত করেন পেসার আল-আমিন হোসেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নেওয়া আল-আমিন ওপেনার ক্রিক এডওয়ার্সকে রানের খাতা খুলতে দেননি। সরাসরি বোল্ড হন ডানহাতি এই ওপেনার।
৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায়। ক্রিস গেইল ও ড্রারেন ব্রাভো ১৯.২ ওভারে ৮৮ রানের জুটি গড়েন।
বিপদজনক হয়ে উঠা ক্রিস গেইল ৪৬তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলীয় ৯৩ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শিকার হন। ৫টি ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করেন গেইল। এর আগে ব্যক্তিগত ২৯ ও ৪৪ রানে রিভিউ সিস্টেমে উইকেটে টিকে যান হার্ডহিটার এই ওপেনার।
গেইলের পর অর্ধশতক হাঁকিয়ে সাজঘরে ফিরেন ড্রারেন ব্রাভোও। ৮২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন বাহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার উইকেটটি নেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজী।
এরপর ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে (৪০ ওভার) ক্যারিবিয়ানদের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন আল-আমিন। এই পেসারের শিকার দিনেশ রামদিন। ৫১ বলে ১ চারে ৩৪ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড, সিমন্স ও ডোয়াইন ব্রাভোকে ফিরিয়ে রানের চাকায় লাগাম ধরেন। পোলার্ড ২০ বলে ২৬, সিমন্স ৬১ বলে ৪০ ও ডোয়াইন ব্রাভো শূন্য রান করেন। হোল্ডার ৮ ও নাসির ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
৩ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ জন্য তিনি ৩৯ রান খরচ করেন।
এ ছাড়া আল-আমিন হোসেন নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সোহাগ গাজী।