বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়টি পূর্ণ তদন্তের অনুমোদন দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদার আবেদন আমলে নিয়ে বুধবার আইসিসির তিন বিচারকের বেঞ্চ এ অনুমোদন দেন। এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন ও চীন রাজ্যে আবারও জাতিগত নিধন অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইসিসির অধীনে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন বেনসৌদা। ওই মাসেই তিনি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির বিচারকরা তাকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমোদন দিলেন। তবে মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হওয়ায় শুধু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ঘটনার তদন্ত করতে পারবেন প্রসিকিউটর। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি বেশি প্রাধান্য পাবে।
এদিকে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন ও চীন রাজ্যে সামরিক বাহিনী আবারও জাতিগত সহিংসতা চালাতে পারে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। গত ২১ জুন থেকে দুই রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ফাঁকে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় এ এলাকাগুলোতে গত কিছুদিনে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা জানতে পেরেছি যে, এ এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করছে, যেখানে বড় মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।