শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্র চলছে: নাগরিক কমিশন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্র চলছে: নাগরিক কমিশন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিশন। চারজন সাবেক বিচারপতি, দুজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা একজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দেশের ৩৩ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি।

কমিশনের সদস্যদের শংঙ্কা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে না পারলে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। সেই সাথে বাড়বে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের ক্ষোভও। কিন্তু জেলা প্রশাসক বলছেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা সতর্ক আছেন এবং প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যাপ্ত। সূত্র: নিউজ টুয়েন্টিফোর।

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার বয়স ২ মাস পার হয়েছে। বিশ্ববাসী দেখেছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন আর জাতিগত নিধন এবং বাংলাদেশের মানবিকতা। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা হল রোহিঙ্গাদের কারণে বিপর্যস্ত কক্সবাজার ও টেকনাফ। তার পরেও বাংলাদেশে প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। এমন পরিস্থিতিতে মাঠে তথ্য সংগ্রহ নিতে যাওয়া নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত থামাতে হবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের স্রোত। আর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হবে দ্রুত।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক, মেজর জেনারের (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, রোহিঙ্গারা যদি বাংলাদেশে থেকে যায় বছরের পর বছর তাহলে বাংলাদেশে বড় ধরনের বহুমুখী সমস্যা দেখা দিবে। আর্থিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তার বহুমুখী সংঘর্ষ হবে।

ক্যাম্পগুলোতে দেশি-বিদেশী অনিবন্ধিত সীম ও ত্রাণের নামে নানা মানুষের আনাগোনাকে ভিত্তি করে উগ্রবাদ ছড়িয়ে পরার শংঙ্কা করছেন রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত নাগরিক কমিটির সদস্য সাহরিয়ার কবির।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সন্ত্রাস তদন্তের নাগরিক কমিশনের সদস্য শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা যে বিষয় নিয়ে চিন্তিত তা হল, রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্য ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী মহল অনেক সক্রিয় হয়ে উঠেছে, গোপনে তা চলছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারেরও মৌলবাদি আছে তারা বাঙ্গালীদেরকে একভাবে উসকানি দিচ্ছে আবার রোহিঙ্গাদের আরেকভাবে উসকানি দিচ্ছে। জেহাদ করতে হবে এভাবে যে উন্মাদনা ছড়াচ্ছে এই বিষয়টি অনেক ক্ষতিকারক বলেন তিনি। রোহিঙ্গাদের এমন জেহাদের কথা বলা হচ্ছে যে রোহিঙ্গাদের কোন দিন তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারবো না।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ঘিরে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভিগ্ন করতে কাজ করছে ১১শ পুলিশ সদস্য। সাথে আছে বিজিবি ও গোয়েন্দা বাহিনীও কাজ করছে। এছাড়া ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে বলে জনিয়েছেন জেলা প্রসাশক।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেক বড় সংকট। সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুতিও রয়েছে ব্যাপক হারে। তবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবহার করে সুবিধা ভোগিরা নানা সুবিধা আদায় করে ফেলতে পারে। এই বাস্তবতায় বিশ্লেষকদের পরামর্শ সর্তকতা আরো বাড়াতে হবে আর তার সাথে সাথে বন্ধ করতে হবে সম্ভাব্য সব ছিদ্র যেগুলো দিয়ে অনুপ্রবেশ কারীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করতে পারে।

আমাদের সময়.কম