স্টাফ রিপোর্টার ॥
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার কোনোভাবেই সমঝোতা করতে চাচ্ছে না। মিয়ানমারের আচরণে মনে হচ্ছে আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যেতে হবে। মিয়ানমারে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন যদি না-ই ঘটে থাকে তাহলে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনকে রাখাইনে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কেন? মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির আমাদেরসময় ডট কমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট, তিন মহিলা নোবেল বিজয়ীসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এসে রোহিঙ্গা নিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন, এর সমাধানে একসাথে কাজ করার কথাও বলেছেন কিন্তু আমরা কোনো ফলাফল দেখছি না। মিয়ানমার তাদের কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। তারা সীমান্তে সামরিক মহড়া দিচ্ছে, আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। তাই এর সমাধানে আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সাহায্য প্রয়োজন। তারা যদি চাপ প্রয়োগ করে, তাদের উপর বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে এর সমাধানে তারা বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যা কিছু বলা হচ্ছে এবং করা হচ্ছে, তারা ভালোভাবেই চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের বন্ধু দেশগুলো ও জাতিসংঘ যদি মিয়ানমারকে বলে, কেন তারা তাদের দেশের নাগরিকদের সাথে এভাবে করছে? তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না কেন? জাতিসংঘের প্রতিনিধিদেরকে মিয়ানমারের সাথে কথা বলতে হবে। তাদের মিয়ানমারকে বলা উচিত, তারা কেন তাদের দেশের নাগরিকদের একবারও দেখতে যায়নি।
তিনি বলেন, তারা রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের যে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করছে, তারা এর পরিষ্কার প্রমাণ চাচ্ছে। মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই বক্তব্যের ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশে মিয়ানমারের যে রাষ্ট্রদূত রয়েছে সে একবারও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে ক্যাম্পে যাননি। তাকে কেন চাপ দেওয়া হচ্ছে না সেখানে যাওয়ার জন্য। তারা গিয়ে দেখে আসুক তাদের দেশের নাগরিক রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় রয়েছে সেখানে। কিন্তু এমনটা কেউই বলছে না।