বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চাপে সংকটে পড়েছে উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ত্রাণ মজুদ, রান্না-বান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার হওয়ায় পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপশি যাতায়াতসহ নানা কারণে সমস্যায় পড়ে আগামী পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থীরা।
উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালি, ঠ্যাংখালি এবং টেকনাফের প্রায় পুরোটা জুড়েই এখন রোহিঙ্গাদের আনাগোনা। প্রশাসন তাদের একত্রে আনার চেষ্টা করলেও নানা কারণে বিলম্ব হচ্ছে। ভাসমান এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ত্রাণ কার্য পরিচালনা, রান্না, মজুদসহ নানা কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে স্কুল-কালেজের ভবন। আর এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাঠদানসহ পুরো শিক্ষা কার্যক্রম।
এসব এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আনা রিলিফ ক্লাস রুমে রাখা হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের হইহুল্লোড়ের কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।
শ্রেণিকক্ষ অন্য কাজে ব্যবহার হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে গাদাগাদি করে একই রুমে পাঠ নিতে হচ্ছে দুই শাখার শিক্ষার্থীদের। মাঝে মাঝে বন্ধ রাখতে হচ্ছে পাঠদান। সামনের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তার ভার শিক্ষকদের কপালে।
উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দাশ বলেন, ‘সামনে জেএসসি পরীক্ষা। এছাড়া এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা আরম্ভ হবে। এসব নিয়ে সমস্যায় আছি। যানজটসহ বিভিন্ন কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে ঠিকমতো আসতে পারছে না।
জেলা প্রশাসন বলছে, আপাতত খুব বেশি কিছু করার নেই তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব জরুরি মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে কোথাও কোথাও দুইটি সেকশনকে একসাথে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের চাপে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন রোহিঙ্গারা। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি