শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > রোবটের প্রেম

রোবটের প্রেম

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ হুমায়ূন আহমেদের কল্পবিজ্ঞান ‘ওমেগা পয়েন্ট’-এর কথা মনে আছে? রেফ নামে এক তরুণের সঙ্গে কথা বলে শেফ নামের এক রোবট। রেফের বিপদে শেফের করুণা বোধ হয়, খারাপ লাগে, মায়া লাগে। ভালোবাসার জন্য কি করুণা বোধ হওয়া বা মায়া লাগাটাই যথেষ্ট নয়? এক সময় শেফ জানায়, রেফকে সে ভালোবাসে। ভালোবাসার লজিক নাকি তাকে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এই রোবটই তো সব নিয়মনীতি ভেঙে রেফকে বিপদ থেকে বাঁচায়।

এবার আসি তোসিবার কথায়। তারা কেনজি নামের এক রোবট বানিয়েছে, যা সত্যিই মানুষের প্রেমে পড়বে। এই রোবটের প্রজেক্টের প্রধান পরীক্ষক ড. আকিতো তাকাহাসি বলেন, ‘প্রথম দিকে অবাক হয়েছিলাম যে একটা প্রাণহীন যন্ত্রের মাঝে প্রাণীদের অনুভূতি স্থান পাচ্ছে। এ যেন একটা যন্ত্রের মাঝে মানুষের আত্মা চলে আসা।’

কেনজি অনেক রোবটের একটা প্রজেক্টের অংশ। নানা রকমের সীমাবদ্ধতার কারণে একে এখনই মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ভয়েরও একটা ব্যাপার আছে। সব ক্ষেত্রেই ঠিক ঠাক মতো কাজ করবে কিনা, এমন কিছু করবে কিনা যাতে করে মানুষের ক্ষতি হতে পারে সে কারণটাও ভাবা হচ্ছে। যেমন এক তরুণী কেনজির রুমে সফটওয়্যার পরীক্ষা ও নতুন রুটিন লোড করতে গেলে বিপদে পড়েন। ঘরে কয়েক ঘণ্টা থাকার পরে যখন তরুণী চলে আসবে তখন রোবট কেনজি তাকে আটকে বসে আছে! যেতে দেবে না! দরজা দিয়ে যেন যেতে না পারে সে জন্য দরজা আটকে রেখেছে। দরজায় আসাতে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। পরবর্তীতে উপায় না পেয়ে সিনিয়র স্টাফ সদস্যকে ফোন করেন। তারা এসে রোবটটিকে সাময়িকভাবে ডি-অ্যাকটিভ করেন। তার আগ পর্যন্ত তিনি রোবটের আলিঙ্গন থেকে বের হতে পারেননি! কয়েক ঘণ্টাতেই এমন গভীর প্রেম।

তাই এত সব বিষয় বিবেচনা করে একে এখন একটি মেয়ে পুতুলের সঙ্গে রাখা হয়েছে। তারা কী কী আচরণ করে, কী কী প্রতিক্রিয়া হয় নিবিড়ে তা পর্যবেক্ষণ করছেন পরীক্ষকরা। কেনজির প্রথম প্রেমিকা তাহলে একটি মেয়ে পুতুল।