রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > রেকর্ড গড়ে সন্ধ্যায় শপথ নিচ্ছেন আবদুল হামিদ

রেকর্ড গড়ে সন্ধ্যায় শপথ নিচ্ছেন আবদুল হামিদ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়াবেন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

সংবিধানে সর্বোচ্চ দু’বার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ থাকায় এটিই হবে আবদুল হামিদের শেষ মেয়াদ। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আবদুল হামিদ।

দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়েছিল। এরপর সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন।

বঙ্গভবন প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নানা রকম ফুল আর রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে বঙ্গভবন।

প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপালনের পর আবদুল হামিদ বিভিন্ন সময় হাস্যরসে বঙ্গভবনের নিয়ন্ত্রিত জীবন পছন্দ না হওয়ার কথা বলেছেন।

প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে জেলে ছিলাম। এখনও জেলে আছি। পার্থক্য আগে স্যালুট দিতো না, এখন দেয়।

১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মো. আবদুল হামিদ।

ছাত্রজীবনেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন আবদুল হামিদ। তিনি সত্তরের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনসহ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১০ জুলাই পর‌্যন্ত সংসদে ডেপুটি স্পিকার এবং এরপর থেকে ২০০১ সালের ২৮ অক্টোবর পর‌্যন্ত স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ। ২০০৯ সালে গঠিত নবম সংসদেও স্পিকারের দায়িত্বপালন করেন। স্বভাবসুলভ হাস্যরস আর দক্ষতার সঙ্গে সংসদ পরিচালনায় সংসদকে অধিবেশনগুলো সাধারণের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি।