বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অব্যশই কোন ঝুঁকি তৈরি করবে না। কারণ এখানে পাঁচ স্তর নিরাপত্তা চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে।
ফারজানা রুপার’ সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন।
ড. মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল আমাদের প্রধানমন্ত্রী’র উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করলাম। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আরও আগে হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেটি অনেক প্রতিকূল্যতার জন্য হয়নি। অবশেষে এই সরকারের আমলে সেডিট হতে যাচ্ছে। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দুটি চুল্লি’র মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেখান থেকে ১২’শ করে ২৪’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০২৪ সাল নাগাত আমাদের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, কিভাবে তা রাশিয়া নেওয়া হবে জানতে চাইলে মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, বছর পরে যখন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে। প্রথমে একটা চুল্লি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। উৎপাদনের তিন-চার বছর পরে জ্বালানি বর্জ্য বেরিয়ে আসবে। প্রতিবছর প্রতিটি চুল্লি থেকে ৩০টন ব্যবহৃত জ্বালানি বেরিয়ে আসবে। সেইসব জ্বালানি পাশেই একটা সংগ্রহিত স্থানে নিমজ্জিত করে রাখা হবে। তা দশ-বিশ বছর পর্যন্ত নিমজ্জিত করে রাখা যায়। আমাদের যেহেতু এই ক্ষেত্রে তেমন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি নেই। সেজন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তি হয়েছে। তারা এসব বর্জ্য স্পেশাল কন্টিনারে জাহাজে করে নিয়ে যাবে। বিভিন্ন পর্যায়ে পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় এই বর্জ্য নিয়ে যাবেন।
আমরা কি তাহলে বলতে পারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রকম ঝুঁকি তৈরি করবে না জানতে চাইলে মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, অব্যশই কোন ঝুঁকি তৈরি করবে না। কারণ এখানে পাঁচ স্তর নিরাপত্তা চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে।
আমাদের সময়.কম