শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > রিনিউয়েবল ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট > নবায়ণযোগ্য শক্তি উৎস ব্যবহারে শীর্ষে বাংলাদেশ

রিনিউয়েবল ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট > নবায়ণযোগ্য শক্তি উৎস ব্যবহারে শীর্ষে বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জলবায়ুকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী যখন দুই ভাগে বিভক্ত তখন এই ভাগাভাগিতে সুষ্পষ্ট রেখা টেনে দিয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমা দেশগুলোকে অবাক করে দিয়ে নবায়ণযোগ্য শক্তি উৎস ব্যবহারে শীর্ষস্থানে বসে আছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৬০ লাখ সৌর প্যানেলের মধ্যে প্রায় ৪০ লাখই ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশে। সদ্য প্রকাশিত ‘রিনিউএবল ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

রিনিউএবল ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১৬ সালে প্রায় ২৫ মিলিয়ন (আড়াই কোটি) মানুষের জন্য ৬ মিলিয়ন (৬০ লাখ) সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) বিতরণ করা হয়েছে। সোলার প্যানেলের সবচেয়ে বড় বাজার এখন বাংলাদেশ। দেশটিতে প্রায় ৪ মিলিয়ন (৪০ লাখ) সোলার প্যানেল ব্যবহৃত হচ্ছে।’

জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিকস কোওপারেশন এন্ড ডেভেলপম্যান্ট, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক এ্যাফেয়ার এন্ড এনার্জি, ইউএন এনভায়রনম্যান্ট প্রোগ্রাম এবং ইন্টার আমেরিকান ভেভেলপম্যান্ট (আইডিবি)-এর অর্থায়নে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে প্যারিস-ভিত্তিক এনার্জি থিংক ট্যাংক ‘রেন-২১’।

সোলার প্যানেল ব্যবহারের সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রথম সারিতে এনে দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পগুলোকে কৃতিত্ব দিয়েছে রিনিউএবল গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট। আফ্রিকান দেশগুলোকে অনুপ্রাণীত করার জন্য এখন বাংলাদেশ রোল মডেলের ভূমিকায় রয়েছে।

জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের শক্তি উৎসের ২.৮৬ শতাংশ আসে নবায়ণযোগ্য শক্তি উৎস থেকে। প্রায় ৬ কোটি মানুষ অর্থাৎ বাংলাদেশের ৩৮ শতাংশ মানুষের বিদ্যুৎ নেই।

সোলার প্যানেল ছাড়াও বায়োগ্যাস প্ল্যাান্ট ব্যবহারে বিশ্বে ৫ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার ৬১০টি বায়োগ্যাস প্লান্ট রয়েছে। জানা গেছে, ২০১৬ সালে শুধুমাত্র সোলার সিস্টেমেই ১০ শতাংশ কর্মসং¯’ান হয়েছে। এছাড়া পরিচ্ছন্ন রড স্টোভ ব্যবহারেও নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

সৌরশক্তি ব্যবহারে ২০১২ সালে সোলার সিস্টেমে বিভিন্ন সৌর সংস্থায় বিনিয়োগ ছিলো মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়য় ১৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এবছর সংখ্যাটি ২২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। সূত্র: রিনিউএবল ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট