রংপুর প্রতিনিধি ॥ সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ৯১ বছর বয়সী গোলাম আযমকে। যার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের সবকটিতে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির প্রমাণ পেলেও, বয়স বিবেচনায় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
এ সময় এরশাদ রংপুরে এক প্রতিনিধি সম্মেলনে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি রায়ের প্রসঙ্গ এনে বলেন, “দেশে রাজনৈতিক সংঘাত হচ্ছে, সন্ত্রাস হচ্ছে। আজকে গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের মামলার রায়ে তার ৯০ বছরের জেল হয়েছে। এ নিয়ে আবার শাহবাগ হবে, আবার শাপলা চত্ত্বর হবে, আবার আন্দোলন হবে।”
এরপরই এ প্রসঙ্গ ছেড়ে এরশাদ মহাজোটে থাকার না থাকার বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
তিনি বলেন, “মহাজোটে থাকার কারণে মামলা-হামলার খড়গ নেই, শান্তিতে ও নিরাপদে সভা সমাবেশ করতে পারছি। আমি সেনাপতি ছিলাম। হঠকারি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কখন কি সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেটা আমি ভালোভাবেই জানি।”
প্রতিনিধি সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মতাসীন শরিক আওয়ামী লীগের সমলোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। এরপরও কেনো মহাজোটে আছি সেটা আমিই জানি। নেতাকর্মীরা মহাজোট ছাড়ার তাগিদ দিয়ে আসছেন। কিন্তু মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলে থাকতাম কোথায়?
“যখন দেখবো ৩০০ আসনে যোগ্য প্রার্থী দেয়ার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জন করেছি তখন আর কোনো জোটের মতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না জাতায় পার্টি।”
রংপুর পুলিশ কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।
বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, রংপুর জেলা সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহানগর সম্পাদক সালাহ উদ্দিন কাদেরী, পঞ্চগড় জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি সায়মা শাহনাজ পিংকী, নীলফামারী জেলা সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম।