বাংলাভূমি ডেস্ক: মোদি পদবি অবমাননার মামলায় সুরাতের দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে।
বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চে শনিবার সকালে শুরু হয় এই শুনানি।
গত মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী বিএম মঙ্গুকিয়া সুরাত দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন।
বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে সেই আবেদন শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু বুধবার মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি গোপী।
রাহুলের আইনজীবী পিএস চম্পানেরী আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই বিচারপতি গোপী বলেন, আমার কাছে নয়। মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি।
এর পর মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি হেমন্তের বেঞ্চে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাহুলকে।
তবে ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক।
সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের এমপি পদ খারিজ করেছিলেন।
এর পর রাহুল তাকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন।
ফলে এমপি পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি, রাহুলের জেলযাত্রার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।