আজগর পাঠান
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
গাজীপুর: মেটরসাইকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। অল্প সময়ে এবং সহজে কোথায় যাতায়তের জন্য মোটর সাইকেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সারাদেশে বর্তমানে মোটর সাইকেল একটি বিরাট আতঙ্কের নাম। প্রতিদিন বিভিন্ন খবরের কাগজগুলোতে বা টিভি চ্যানেলেগুলোতে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বা নিহতের খবর পাওয়া যায়। এদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী যুবক বা বয়সে তরুন। রাস্তার ফুটপাত থেকে শুরু করে রাজপথে সর্বত্র এখন তাদের বেশ দাপট দেখা যায়। বেশির ভাগ বাইকাররাই হেলমেট ব্যবহার করেনা বা করলেও আবার তা অত্যন্ত নিম্মমানের। অনেক মোটর সাইকেল চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বললেই চলে। কারো আবার গাড়ির নিবন্ধন নেই। অনেক মোটর সাইকেল চালকরা কয়েকজনে একজোট হয়ে বীরের মতো চলাচল করে। অল্প বয়সী তরুন পিছনে তরুণী বসিয়ে বেপারোয়া গতিতে মোটর সাইকলে নিয়ে হাওয়ায় ভাসতে দেখা যায়। আর এ কারণে অনেক পথচারীরা বা সাধারণ রিক্সা ড্রাইভাররা তাদের দূর্ব্যবহারের শিকার হয়ে থাকে। দুজনের বেশি মোটর সাইকেলে আহরণ নিষেধ থাকলেও অনেক মোটর সাইকেলে তিনজনও আরোহন করতে দেখা যায়। কখনো আবার সামান্য টাকা বাঁচানোর আশায় স্ত্রী ও কোলের শিশু সন্তান নিয়ে মোটর সাইকেলে আহোরণ করে থাকেন। বেপারোয়া গতীতে মোটর সাইকেল চালানো, গাড়ীর ফিটনেস না থাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা, নিম্মমানের হেলমেট ব্যবহার করা বা হেলমেট না থাকা, দুজনের বেশি ব্যক্তি মোটর সাইকেলে আহোরণ করা ইত্যাদি নানা কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন স্থানে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টরা বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করলেও থেমে নেই মোটর সাইকেল চালকদের আপন গতি। বিভিন্ন কোম্পানি মোটর সাইকেল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে বিধায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে মোটর সাইকেল বিক্রয়ের হারও তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশে মোটর সাইকেল চলাচলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা বেশ তৎপর ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ট্রাফিক বিভাগ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকেও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছে।
সর্বোপরি আমরাও চাই সড়কে যেন আর কোন তাজা প্রাণ না ঝড়ে। কারো যেন আর অল্প বয়সে পঙ্গুত্ব বরণ করতে না হয়। পাশাপাশি সরকারের আরও কঠোর ভুমিকা রাখার দাবি জানাচ্ছি।