‘রাষ্ট্রপতির দোহাই দিলে কষ্ট লাগে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে ৮ মে পর্যন্ত সময় পেল সরকার। বার বার সময় চেয়ে আবেদনে বিরক্তি প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সময় দিলাম। কিন্তু আমরা মনে করি, এরপর আর কোন অজুহাত থাকবে না।

অ্যাটর্নি জেনারেলের দুই সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ৮ মে পরবর্তি শুনানির দিন ধার্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সময় আবেদনের এই বিষয়টি এলে আপনি মাথা নিচু করে থাকেন। রাষ্ট্রপতির বিষয় টানেন। রাষ্ট্রপতি সবার শ্রদ্ধেয়, তাকে কেন টানেন? তার (রাষ্ট্রপতির) দোহাই যখন দেন তখন আমাদের কষ্ট লাগে। রাষ্ট্রপতি খুব ভালো লোক।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

পরে ২৪ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পর গত ১ ডিসেম্বর পুনরায় এক সপ্তাহ সময় চাইলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।

কিন্তু ৮ ডিসেম্বর বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির বেঞ্চ।

রাষ্ট্রপতির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি ১২ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানিয়েছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিধিমালার গেজেট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে ৮ মে পর্যন্ত সময় পেল সরকার। বার বার সময় চেয়ে আবেদনে বিরক্তি প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সময় দিলাম। কিন্তু আমরা মনে করি, এরপর আর কোন অজুহাত থাকবে না।

অ্যাটর্নি জেনারেলের দুই সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ৮ মে পরবর্তি শুনানির দিন ধার্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সময় আবেদনের এই বিষয়টি এলে আপনি মাথা নিচু করে থাকেন। রাষ্ট্রপতির বিষয় টানেন। রাষ্ট্রপতি সবার শ্রদ্ধেয়, তাকে কেন টানেন? তার (রাষ্ট্রপতির) দোহাই যখন দেন তখন আমাদের কষ্ট লাগে। রাষ্ট্রপতি খুব ভালো লোক।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

পরে ২৪ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পর গত ১ ডিসেম্বর পুনরায় এক সপ্তাহ সময় চাইলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।

কিন্তু ৮ ডিসেম্বর বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির বেঞ্চ।

রাষ্ট্রপতির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি ১২ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানিয়েছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিধিমালার গেজেট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

শেয়ার করুন

Related News

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫