বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > রান আউটে মিরাজের বিদায়

রান আউটে মিরাজের বিদায়

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থামা মিরাজও খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না। ১৯ বলে ২০ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন ২০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন তাইজুল ইসলাম।

দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আগের দিন ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো মুমিনুলও। মুশফিক-সাকিব-তামিমের পর দেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির করা সুযোগ ছিল তার। তবে শুরুতেই বিদায় নেন বাঁহাতি এই টেস্ট স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান। বাঁহাতি স্পিনার হেরাথের লেগ স্টাম্পের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন মুমিনুল। আগের দিনের ১৭৫ রানের সঙ্গে ১ যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান টাইগার এই তারকা।

মুমিনুলের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না চোখে সমস্যা কাটিয়ে অনেকদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোসাদ্দেক। ব্যক্তিগত ৮ রানে হেরাথের বলে সান্দাকানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা এই ব্যাটসম্যান।

শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে নেমে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকে মিরাজ। অহেতুক রান নিতে গেলে লাহেরু কুমামার থ্রুতে রান আউটের ফাঁদে পরেন মিরাজ।

এর আগে টসে জিতে প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭২ রান। দিলরুয়ান পেরেরার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তামিম বোল্ড হন ৫২ করে।

এরপর ৪০ রানে ভুল এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়েছেন ইমরুল কায়েস। লক্ষ্ণ সান্দিকানের বলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে রিভিউ নেয়ার সাহস করেনি বাংলাদেশ। অথচ টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পের অনেক ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল।

ইমরুল ফেরার পর বড় জুটি গড়েছেন মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীম। ৯২ রান করে সুরাঙ্গা লাকমলের শিকার হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিটি ছিল ২৩৬ রানের। তবে এ জুটি ভাঙার পরই কিছুটা বিপদে পড়েছে টাইগাররা। দ্রুত বিদায় নেন লিটন দাস। তবে দিনের বাকি সময় মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ভালোভাবেই পাড় করে মুমিনুল। তাতেই চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৭৪ রান।