বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > রাতারাতি সব অনিয়ম দূর করতে পারবো না : গণপূর্তমন্ত্রী

রাতারাতি সব অনিয়ম দূর করতে পারবো না : গণপূর্তমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজউকের কোন অথরাইজ অফিসার কাজ করছে না, কোন ইন্সপেক্টর অনিয়ম করছে এটা যেমন আমার দেখার দায়িত্ব, ঠিক তেমনি যে বিল্ডিংয়ে অনিয়ম করছে, যেসব সুবিধা থাকার কথা কিন্তু নেই, নাগরিক হিসেবে সেই বিষয়ে সচেতন হওয়ার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের। রাতারাতি সব অনিয়ম দূর করতে পারব না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নতুন ঢাকায় যারা যেমন ইচ্ছে বিল্ডিং করেছেন। যেসব বিল্ডিং একেবারেই নিয়ম মেনে করা হয়নি সেসব বিল্ডিং আমরা ভেঙে দেব। যেগুলো মোটামুটি অনিয়ম হয়েছে, যেগুলো আধুনিক ইমারত প্রযুক্তিতে টিকিটে রাখা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে। আর যেগুলো একেবারেই নিয়ম মেনে করা হয়নি সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী উল্লেখ করে সিলগালা করে বেব।

তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগতো, সে কারণে সাধারণ মানুষকে টেবিলে টেবিলে ঘুরতে হতো। আমরা উদ্যোগ নিয়ে ১২টি বাদ দিয়েছি। আমরা আইন করে দিয়েছি ৫৩ দিনের মধ্যে প্ল্যান অনুমোদন হতে হবে, ভূমির ছাড়পত্র ৭ দিনের মধ্যে। জনগণের সেবার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

রেজাউল করিম বলেন, একটি বাড়িকেও আমরা আইনের বাইরে রাখতে চাইনা। হয়তো রাতারাতি পারব না, কারণ রাজউকের পরিসর অনেক বড়। পুরান ঢাকায় ৫০০ বছরের পুরনো বিল্ডিং আছে। এখন যদি চাই আজকে গিয়েই ভেঙে ফেলব, তাহলে তা সম্ভব না।

তবে এগুলোকে রিডেভলপমেন্ট করে বসবাস উপযোগী করতে চাই। সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে বলেছি। কেউ দেড় কাঠা জমির ওপর ছয়তলা বিল্ডিং করেছে। আমরা বলেছি, আপনাদের সবাইকে নিয়ে প্রতিটি এলাকায় পরিবেশবান্ধব বসবাস উপযোগী বিল্ডিং করে দেব। প্রাপ্য অনুযায়ী আপনারা ফ্ল্যাট পাবেন। অনেকেই সম্মতি দিয়েছে, হয়তো একটু সময় লাগবে বলে জানান মন্ত্রী।

গণমাধ্যেমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে যে অনিয়ম দেখবেন তা তুলে ধরবেন। তাহলে সমস্যা চিহ্নিত করতে আমাদের সুবিধা হয়। আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি যে, কোনো গণমাধ্যমে কোনো অনিয়মের নিউজ হলেই সেটা আমার কাছে উপস্থাপন করতে। সেটা ধরেই আমরা তদন্ত করব। এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১২টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সবগুলোই গণমাধ্যমের খবর দেখে। রাতারাতি সব দুর্নীতি-অনিয়ম থামাতে পারব না। শতভাগের মধ্যে যদি ৫০ শতাংশ দূর করতে পারি, তাহলে আমি ভাববো কিছুটা তো করতে পেরেছি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠিত হয়।