স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর রহস্য তদন্তে রাজশাহীতে মালদ্বীপ পুলিশের দুই সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। আজ মঙ্গলবার মালদ্বীপ পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ রিয়াজ ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর আলী আহমেদ রাউধার মৃত্যু আত্মহত্যা না কি খুনÑ সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা পুলিশের উপÑপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে তারা রাজশাহী শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান।
তদন্ত দলটি শিক্ষা গ্রহণের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের সহপাঠিসহ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন। এছাড়া তারা রাউধার হোস্টেলের কক্ষ পরিদর্শন করবেন। মালদ্বীপ থেকে আসা তদন্ত দলকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এর আগে গত ২৯ মার্চ (বুধবার) রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেল থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান মডেল তারকা রাউধা আতিফ ইসলামী ব্যাংক মেডিকল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর ভোগ ইন্ডিয়ার প্র”ছদে অন্য মডেলদের সঙ্গে নীল নয়না রাউধার ছবিও ছাপা হয়। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে।
রাউধার মৃত্যুর পর গত ৩১ মার্চ শুক্রবার তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। ফলে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সামনে এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে কী এমন ঘটেছিলো, যার কারণে তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে? তাকে কেউ আত্মহত্যায় প্রভাবিত করেছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। কারণ একদিকে রাউধার বাবা-মায়ের আত্মহত্যার বিষয়টি মেনে না নেয়া এবং সহপাঠিদের বক্তব্য ঘটনা ঘটার আগের দিন পর্যন্ত তার চলাফেরা বা আচরণে আত্মহত্যা করার মত কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। তাই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবার জন্য রাউধার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে চলছে জোর অনুসন্ধান। এই দুই মাধ্যম থেকেই ঘটনার কোন ক্লু মিললেও মিলতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন মামলার তদন্তকারীরা।