বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম রেল পথ। কিন্তু অরক্ষিত রেলপথ আর ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ের কারণে রাজধানীতে অপমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ট্রেন। রাজধানীসহ আশপাশের ৩৫ কিলোমিটার রেল পথে ৫৮টি লেভেল ক্রসিংয়ের ২৩টি অরক্ষিত ও অননুমোদিত। এর মধ্যে কোনটিতে নেই গেইটম্যান ও সিগনাল বার। ঢাকা রেলওয়ের পুলিশ বলছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে যমুনা ব্রিজ পর্যন্ত র্দীঘ লাইনে গত ছয় মাসে দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৭১ জন। রেল লাইনের পাশে বসতি ও কাঁচা বাজার এবং ফোনে কথা বলার কারণে ঘটছে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা।
রাজধানীতে প্রতিনিয়তই ঘটছে রেল দূর্ঘটনা। রেলক্রসিংয়ের মধ্যে বেশি দূর্ঘটনা ঘটে কুড়িল বিশ্বরোডে। অরক্ষিত এই রেলক্রসিংয়ে হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হয় প্রতিদিন। অথচ এই ক্রসিংয়ে নেই কোন সিগনালবার, নেই কোন গেইটম্যান। এ সম্পর্কে পথচারিরা বলেন, ‘মানুষতো রাস্তায় হাঁটার সময় অনেক চিন্তার মধ্যে থাকতে পারে। আর কখন ট্রেসন আসবে এটা কি আর সাধারণ মানুষ জানে। কোন সিগনালবার নেই ক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকার মতে কোন মানুষ নেই।’ রাজধানীর দক্ষিণে মালিবাগ রেলক্রসিং থেকে খিলগাঁও ব্রিজ পর্যন্ত মোট ৭টি পকেট রেলক্রসিং রয়েছে যার একটিতেও নেই কোন গেইটম্যান বা সিগনালবার। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ইচ্ছেমতই এই পকেট গেইটগুলো বানিয়েছে। ফলে প্রায়দিনেই ঘটে মারাত্বক দূর্ঘটনা।
এ সম্পর্কে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন,‘থানার তথ্য অনুযায়ি রেলে কাটা পরে গত ছয় মাসে ১৭১ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে রেল পার হবার সময় এসব দূর্ঘটনাগুলো ঘটে।’
এছাড়া রেলের পাশে বাজার ও বসতির কারণেও ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনা রোধে জনগনকে আরো সচেতন হবার কথা জানায় রেলওয়ের থানার পুলিশ। সূত্র: যমুনা টিভি